এইদিন ওয়েবডেস্ক,বর্ধমান,০৫ মে : এবারের লোকসভা নির্বাচনে দিলিপ ঘোষকে মেদিনীপুর আসনে টিকিট দেয়নি দল । পরিবর্তে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনে প্রার্থী করা হয়েছে তাকে । অবশ্য এই আসনটি বর্তমানে বিজেপির দখলেই রয়েছে । বিদায়ী সাংসদ এস এস আলুওয়ালিয়া আসানসোল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবার । এদিকে প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পর থেকেই বর্ধমানে মাটি কামড়ে পড়ে আছেন দিলীপ ঘোষ । তীব্র দাবদহের মধ্যে প্রতিদিন কোন না কোন ব্লকে কার্যত দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি ।
সাধারণ মানুষের হাতে হাতপাখা তুলে দেওয়ার পাশাপাশি দাবদহ থেকে নিস্তার পেতে টোটকাও দিচ্ছেন দিলীপবাবু । দিলীপবাবুর কথায়, রোজ পান্তা ভাত খেলে দাবদহ থেকে নিস্তার পাওয়া যায় । মাঝেমধ্যে নিজের পান্তা ভাত খাওয়ার ছবিও পোস্ট করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম । সেই সমস্ত ছবিতে দিলীপবাবুর পান্তা ভাতের মেনুতে দেখা যাচ্ছে ছোলার ছাতু, মাছ ভাজা, শাক ভাজা,কাঁচা লঙ্কা ও পিঁয়াজ প্রভৃতি ।
আজ রবিবার দুর্গাপুরে নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে নিজের পান্তা ভাতের জন্য জমিয়ে মার্কেটিং করলেন দিলীপ ঘোষ । প্রাতঃভ্রমণেই দুর্গাপুরের এক মাছ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তিনি চারা মাছ কেনেন । পাশাপাশি অন্য একটি দোকান থেকে কেনেন ছোলার ছাতু । নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পেজে মাছ কেনাকাটার ভিডিও পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘টাটকা তাজা মাছ দেখে দাঁড়াতে বাধ্য হলাম। মর্নিং ওয়াক সেরে অঙ্গপুর হেডকোয়ার্টারের সামনে থেকে কয়েকটা ছোটো পোনা কিনলাম। মাঝবয়সী একব্যক্তি মাছ বিক্রেতা। মাঝ মাপতে মাপতে দেখলাম হাঁপাচ্ছেন। অতিরিক্ত ধূমপানের কারণেই এই অবস্থা। ধূমপান না করার পরামর্শ দিলাম। যতদিন জীবন আছে, সুস্থভাবে বাঁচুন। ভালোভাবে বাঁচুন।’
দুর্গাপুরের একটা মার্কেট থেকে ছাতু কেনার ভিডিও পোস্ট করে তিনি লিখেছেন,’সকালে মাছ বাজারে টাটকা মাছ কেনার পর দুর্গাপুরের ডি সেক্টর মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জন সম্পর্ক হল। তাঁদের থেকে ছাতু কেনা হল। ছাতুকে সুপার ফুড বললেও কম বলা হয়। সকালে ছাতুর শরবত খেলে গরমে পেট ঠান্ডাও থাকে, অনেকক্ষণ পেট ভর্তিও থাকে। হাসি, আড্ডায় ব্যবসায়ী ভাইরা আমাদের আপন করে নিলেন। কেউ কেউ জানালেন অনেকদিন ধরেই তাঁরা অপেক্ষা করছিলেন কখন আমাদের সঙ্গে তাঁদের দেখা হবে। মার্কেট ও স্থানীয় বেশি কিছু সমস্যা নিয়ে তাঁরা তাঁদের মতামত জানালেন। আমরাও কথা দিলাম পরবর্তীতে যাতে এই সমস্যাগুলো সমাধান করা যায়।’
পরে অন্য একটি পোস্টে বিজেপি প্রার্থী লিখেছেন,’জয় মাধব, জয় যাদব। পূর্ব বর্ধমানের শোনপুর ‘মনোবিতান হল’ ভিটায় যাদব সম্মেলন সারলাম। যদু বংশীয় সমাজ ও তাদের দাবিদাওয়া একত্রীকরণের সমাবেশ ছিল এটি। উপস্থিত ছিলেন দুগ্ধ ব্যবসায়ী-সহ গো-পালকরা। ভারত সরকারের জাতীয় গোকুল মিশনের মতো বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পে উপকৃত সকলে। চাষাবাদে উন্নয়নের ফলে আর্থিক উন্নতির মুখ দেখেছেন কৃষকরা। সকলের সঙ্গে কথা বললাম। খাঁটি দুধের তৈরি ছানাও খেলাম। শুদ্ধতার স্বাদ মুখে লেগে থাকার মতো।’।