প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৪ জুন : বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনায় বিরাম পড়ছে না পূর্ব বর্ধমানে । ফের সোমবার জেলার জামালপুর ব্লকে বজ্রপাতে এক চাষির মৃত্যু হল । মৃতর নাম উত্তম দাস (৫৩)। তার বাড়ি জামালপুর ২ পঞ্চায়েতের বকুলতলা এলাকায় ।চলতি জুন মাসের এদিন পর্যন্ত বজ্রপাতে জামালপুর ব্লকের ৭ জন বাসিন্দা প্রাণ হারালেন। এই ভাবে বজ্রপাতে একের পর এক বাসিন্দার মৃত্যু চিন্তা বাড়িয়েছে প্রশাসনের । এদিনই ময়নাতদন্তের জন্যে পুলিশ মৃত ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে । একমাত্র রোজগেরে ব্যক্তির এমন অকাল মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছেন পরিবার পরিজন ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বকুলতলা গ্রামনিবাসী উত্তম দাস পেশায় ছিলেন চাষি । বাড়ি লাগোয়া চাষের জমিতে তিনি তিল চাষ করেছিলেন । মৃতর ভাই দিলীপ দাস বলেন,জমিতে কাটা পড়ে থাকা তিল গাছ এদিন দুপুরে গুছিয়ে রাখতে যায় তাঁর দাদা । তখন বজ্রপাত সহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়।বজ্রপাতে জখম হয়ে উত্তম দাস মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করে জামালপুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করেন ।প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে ,এদিনই দুপুরে জেলার ভাতারের ওড়গ্রামে বজ্রপাতে ৪ টি গরুর মৃত্যু হয়েছে । বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন মৃত গরুগুলির মালিকরা ।
এদিকে চাষির মৃত্যুর খবর পেয়েই জামালপুর বিধানসভার বিধায়ক অলোক মাঝি ,পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খাঁন,ব্লকের বিপর্যয় ব্যাবস্থাপন আধিকারিক ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় জামালপুর হাসপাতালে পৌছে মৃত্যুর ঘটনা বিষয়ে সবিস্তার খোঁজ খবর নেন । পরিবারটির পাশে থাকার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন ।
বিধায়ক অলোক মাঝি ও সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খাঁন বলেন, ‘এই বছরে জামালপুরে বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গিয়েছে। চলতি জুন মাাসের এদিন পর্যন্ত জামালপুরের ৭ জন বাসিন্দা বজ্রাঘাতে মারা গেলেন । জামালপুরে এইভাবে বজ্রপাত বৃদ্ধি প্রশাসনকেও ভাবিয়ে তুলেছে ’। মেহেমুদ খাঁন বলেন ’,বজ্রপাতের প্রাণ খোয়ানোর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কি কি করনীয় সেই বিষয়ে সরকারী ভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে । সবাইকে তিনি সেই সতর্কীকরণ মনে চলার কথা বলেন’ । বিপর্যয় ব্যাবস্থাপন আধিকারিক ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় বলেন ,’মৃতর পরিবার যাতে দ্রুত সরকারী আর্থিক সহায়তা পায় তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ।’।