এইদিন ওয়েবডেস্ক,মুম্বাই,০৪ মে : দুবাই থেকে ২৫ কেজি সোনা পাচার করতে গিয়ে মুম্বাই বিমানবন্দরে ধরা পড়ে গেলেন তালিবানপন্থী আফগান মহিলা কূটনীতিক জাকিয়া ওয়ার্দাগ(Zakia Wardak) । পাচার করা সোনার বাজারমূল্য ভারতীয় মূদ্রায় ১৮.৬ কোটি টাকা । ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই) তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে । টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুসারে,গত ২৫ এপ্রিল জাকিয়া ওয়ার্দাগ মুম্বাই বিমানবন্দরে ধরা পড়েন । ডিআরআই কর্মকর্তারা ওয়ার্দাগের সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছিলেন, তারপরে তারা বিমানবন্দরে বেশ কয়েকজন কর্মী মোতায়েন করেছিলেন । এরপর দুজনের লাগেজ, পাঁচটি ট্রলি ব্যাগ, একটি হ্যান্ডব্যাগ, একটি স্লিং ব্যাগ এবং একটি বালিশে তল্লাশি চালাতেই বিপুল পরিমান সোনা উদ্ধার হয়। পাশাপাশি ওয়ার্দাগকে একটি পৃথক ঘরে নিয়ে গিয়ে মহিলা আধিকারিকরা তার জ্যাকেট, লেগিংস, হাঁটুর ক্যাপ এবং কোমরের বেল্টে লুকানো বেশ কিছু সোনার বার খুঁজে পায় ।
এদিকে বিষয়টি আজ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতে তার কয়েক ঘন্টার মধ্যে পদ থেকে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেছেন জাকিয়া ওয়ার্দাগ । তিনি আরবি ও ইংরাজি ভাষায় লেখা পদত্যাগপত্র নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন । তাতে অভিযোগ করেছেন যে বিগত বছরগুলিতে তিনি,তার পরিবার ও বন্ধুবান্ধবরা অগনিত ‘ব্যক্তিগত আক্রমণের শিকার’ হয়েছেন । তিনি লিখেছেন,’গত এক বছরে, আমি অসংখ্য ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং মানহানির সম্মুখীন হয়েছি। শুধুমাত্র আমিই নয়, কিন্তু আমার ঘনিষ্ঠ, পরিবার এবং তাদের আত্মীয়রাও এই আচরণের শিকার হচ্ছেন । এই আক্রমণগুলি, যা সংগঠিত বলে মনে হচ্ছে, যাতে আমার ভূমিকায় কার্যকরভাবে কাজ করার ক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে৷ তিনি লিখেছেন, আফগান সমাজের নারীরা যে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন যারা চলমান অপপ্রচারণার মধ্যেও আধুনিকীকরণ এবং ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চেষ্টা করছেন ।’
প্রসঙ্গত,পূর্ববর্তী আফগান সরকারের সময় জাকিয়া ওয়ার্দাগ নয়াদিল্লিতে আফগানিস্তান দূতাবাসের জন্য ভারত সরকারের সমর্থন বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন । তিনি দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে তালিবানের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করছেন এবং হায়দ্রাবাদের কনস্যুলেট সাইয়েদ মোহাম্মদ ইব্রাহিমখাইলের সাথে ভারতে তালিবানদের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছিলেন ।।