তপ্ত দুপুর দহন জ্বালা
একটু মাদুর পেতে,
গা এলিয়ে দুচোখে ঘুম
পেটে খাবার যেতে।
দোর গোড়াতেই দাঁড়িয়ে
ঘুমটা যেন থাকে,
তপ্ত দুপুর খোশমেজাজে
দুহাত ভরে ডাকে।
চারিদিকে শুনশান সব
পাতা খসার শব্দ,
এই দুপুরে গ্ৰীষ্ম ভায়া
করেছে বেশ জব্দ।
দুপুর বেলা যেইনা হোল
চোখে এলো ঘুম,
ওমনি শুরু বাগান ধারে
পাথর পড়ার ধুম।
কচি আম ঝুলছে গাছে
ছেলে ছোকরা সব,
এই দুপুরে জড়ো হয়ে
করছে কলরব।
শৈশবের সেই গন্ধ
ভেসে আসে নাকে,
খুশির আমেজ মনে শুধু
হৈহৈ করে ডাকে।
ঘুম উঠলো মাথায় শেষে
ওদের গিয়ে বলি,
আম, তেঁতুল পাড়তে
আমিও শেষে চলি।
এক ঝুড়ি আম পেড়ে শেষে
চলছে হাতাহাতি,
কে নেবে বেশি কম তাই
নিয়েই মাতামাতি।
নুন,লঙ্কা মাখিয়ে নিয়ে
একটু সবুর সবে
তেঁতুল গাছে তেঁতুল হাপিস
গাছ দাঁড়িয়ে রবে।
আম আর তেঁতুল মাখায়
সারা দুপুর কাটে,
শৈশবের সেই রঙিন দিন
ছিল মাঠে ঘাটে।
ধূধূ করা মাঠঘাট আর
প্রান্তর যে বহুদূর,
রেডিওতে মিহি সুরে বাজত
ছায়াছবির সুর।
সবকিছু আজ হারিয়ে যাচ্ছে
নকশীকাঁথার মতন,
তপ্ত দুপুর সোহাগ করেই
রাখতে চাই যতন।
চাতক পাখির ঠোঁট দুটো
আকাশ পানে চেয়ে,
তৃষ্ণা মেটাও প্রভু তুমি
বৃষ্টি ঢালো ধেয়ে।
ঋতুরঙ্গে গ্ৰীষ্মের মাতনে
রবিপ্রণামে পাই সুখ,
সবকিছু মিলে আনন্দে
চেয়ে যেন উন্মুখ।।