এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০১ মে : উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেল তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মুখে । ওই কেন্দ্রে কুণালবাবুদের দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু তার কথা মুখেও আনলেন না তৃণমূল মুখপাত্র । উত্তর কলকাতা কেন্দ্রে ভোটের ঠিক একমাস আগে কুণাল ঘোষের এই কান্ডে তোলপাড় কলকাতার রাজনৈতিক মহল । ঘটনার পিছনে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পুরনো বৈরিতা না অন্য কোনো সমীকরণ কাজ করছে তা নিয়ে জোর চর্চা চলছে এখন ।
আসলে আজ বুধবার কলকাতা পুরসভার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামবাজারে একটি রক্তদান শিবিরের অনুষ্টানে গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। তার সঙ্গে ছিলেন উত্তর কলকাতার বিজেপি সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ । পরে অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত হন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ । রক্তদান শিবিরের মঞ্চে কুণাল যখন বক্তৃতা দিচ্ছিলেন তখন ঠিক তার পিছনের চেয়ারেই বসেছিলেন তাপস ও তমোঘ্ন ।
নিজের বক্তব্য রাখতে কুণাল বলেন,’জনপ্রতিনিধি হিসাবে তাপস রায়ের সম্পর্কে আমার কিছু বলার নেই। উনি যত দিন জনপ্রতিনিধি ছিলেন, তত দিন মানুষকে পরিষেবা দিয়ে গেছেন। দিন-রাত তাঁর দরজা মানুষের জন্য খোলা থাকত। মানুষ যখন তাঁকে ডেকেছেন তখনই পেয়েছেন । কিন্তু দুর্ভাগ্য,আমরা তাপস রায়কে এক পরিবারে রাখতে পারিনি । আজকে উনি অন্য দলের প্রার্থী । তাপসদার দলের কর্মীরা তাঁর জন্য কাজ করবেন । আমরা আমাদের দলের প্রার্থীর জন্য কাজ করব ।’ তিনি আরও বলেন,’তাপসদা আমাদের খুব প্রিয় পাত্র। তাপস দার দরজা সব মানুষের জন্য কর্মীদের জন্য সব সময়ে খোলা থাকে । তাপস দা যেভাবে মানুষকে অতীতে পরিষেবা দিয়েছেন, সেটা রাজনীতিবিদ তাপস দার বড় ফ্যাক্টর। প্রার্থী হিসাবে ব্যক্তিগতভাবে আমি তাপস দাকে জনপ্রতিনিধি হিসাবে এক ইঞ্চিও পিছনে রাখতে পারব না। তাপস রায় একজন যোগ্য প্রার্থী ।’ পাশাপাশি তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে এবারের ভোটে ছাপ্পা হবে না ।
এদিকে কুণাল যখন মঞ্চে মাইক হাতে বক্তৃতা রাখছিলেন তখন তার ঠিক পিছনেই চেয়ারে বসে মুচকি হাসছিলেন তাপস রায় । লোকসভা ভোটের মুখেই কেন সদ্য ‘তৃণমূল প্রাক্তনী’ তথা বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের স্তুতি ? উত্তরে কুণাল ঘোষের সপাট জবাব, ‘দেব যদি বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে বাবার মত বলে দরাজ সৌজন্য দেখাতে পারে তাহলে আমি খারপ কি বলেছি ?’
অবশ্য কুণাল সম্পর্কে তাপস রায় বলেন,’ব্যক্তিগত ভাবে বলবো,কুণাল আমার অত্যন্ত স্নেহের ছোট ভাই ।’ এখন এই সৌজন্য ও পালটা সৌজন্য নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গেছে রাজ্য রাজনীতিতে ।।