প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৮ এপ্রিল : কোন রাখ ঢাক নয়। একেবারে নিজের ভঙ্গিমাতেই দিলীপ ঘোষ মারের বদলে পাল্টা মারের নিদান দিলেন।রবিবার তিনি জানিয়ে দিলেন,“মারলে পাল্টা মার হবে। হামলা হলে হামলা হবে। চোখ দেখালে চোখ দেখাবো, লাঠি দেখালে লাঠি দেখাবো“।এমন হুঁশিয়ারি দিয়েই দিলীপ ঘোষ কার্যত আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন ,কমিশনের শো কজ ,দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বকাবকি যাই থাক, তিনি ভোটে লড়বেন তাঁর মতন করেই ।
বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা আসনো প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ এদিন বর্ধমানের সাধনপুর হাইস্কুল মাঠে প্রাত:ভ্রমণ ও জনসংযোগ সারেন। তারপর রোজকার মত চা চক্রের অনুষ্ঠানে হাজির হন।সেখান থেকেই তিনি তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দেন । তিনি এও বলেন, “আগামী ১৩ তারিখ পর্যন্ত যদি ভদ্রভাবে না থাকে, আমিতো পাঁচ বছর থাকবো তারপর হিসাব কেতাব বুঝে নেব। বিজেপি এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়বে না। ওদের প্রার্থীকে এখনই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গরমে, রোদে কষ্ট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এলেন লোক হলো না। ওদের সমস্যা ওদের ব্যাপার। পার্টি অফিসের সামনে থেকে গো ব্যাক বলছে, দম থাকলে বেড়িয়ে আয় আমাদের মতন রোদে গরমে।
ভোটের মুখে রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম।কেতুগ্রামের পালিটায় বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বিকাশ মাঝির বাড়িতে শনিবার ভাঙচুর ও লুটপাট চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী প্রিয়া সাহা অভিযোগ করেছেন,তাঁদের দলের মণ্ডল সভাপতি বিকাশ মাঝির বাড়িতে শুধু লুটপাট চালিয়েই খান্ত হয় নি তৃণমূলে দুস্কৃতিরা । তারা বিকাশ মাঝির বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দিতে উদ্যত হয়েছিল ।
প্রিয়া সাহার অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেচেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ
দাস । তবে কেতুগ্রামের ঘটনা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বক্তব্য , ’ওরা (তৃণমূল)এসবই করবে। আরতো কিছু করার নেই ওদের’।শনিবার জামালপুরে নির্বাচনী সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’সপ্তম দফায় ডায়মণ্ড হারবারে বিজেপি চুর্ণবিচুর্ণ হয়ে যাবে ।এছাড়াও অভিষেক বলেন,লোকসভা নির্বাচনে যে পঞ্চায়েত, যে এলাকায়, যে ব্লকে, যে বিধানসভায় তৃণমূল জিতবে সেই এলাকায় প্রকৃত উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকে যাবে“। অভিষেকের মন্তব্যের জবাবে দিলীপ ঘোষ এদিন অভিষেকের নাম মুখে না এনে বলেন,’উনি কি মনে করেন ডায়মণ্ড হারবার একমাত্র লোকসভা যে সব টাকা ওখানে খরচ হবে। আসলে উনি ডায়মণ্ড হারবার মডেল চালু করার চেষ্টা করছেন।’।