এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৬ এপ্রিল : সন্দেশখালির “ত্রাস” শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত হাফিজুল খানের আত্মীয় সরবেড়িয়ায় আবু তালেব মোল্লার বাড়িতে মিলেছে অস্ত্র ভাণ্ডারের খোঁজ । উদ্ধার হয়েছে বিদেশি নাইন এমএম পিস্তল ও দেশি ৭ এমএম পিস্তল মিলে অন্তত ১৫ টি আগ্নেয়াস্ত্র৷ সেই সাথে প্রচুর কার্তুজ ও বিস্ফোরকের খোঁজ পাওয়া গেছে । সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল তো ছিলই, তার উপর সন্দেশখালিতে পৌঁছে গেছে ন্যাশানাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি)-এর বম্ব ডিসপোসল এবং ডিটেকশন স্কোয়াড । সাধারণত আপতকালিন পরিস্থিতিতেই এনএসজিকে ডাকা হয়ে থাকে । এনএসজি-এর জওয়ানরা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন(ডিআরডিও)-এর তৈরি দক্ষ ( Daksh) নামে চার চাকার রোবট দিয়ে সরবেড়িয়ায়র রাস্তার কোথাও বিস্ফোরক বা আগ্নেয়াস্ত্র পুঁতে রাখা হয়েছে কিনা তা তল্লাশি চালাচ্ছে । ফলে ইডির উপর শেখ শাহজাহানের রোহিঙ্গা বাহিনীর হামলার পর ফের একবার খবরের শিরোনামে চলে এসেছে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার সন্দেশখালি।
বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে টুইট করেছেন,ইডি-সিবিআই- এনআইএ-এনএসজি পর সন্দেশখালিতে কি এবার সেনা নামাতে হবে ? সন্দেশখালীতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হচ্ছে।শাহজাহান শেখের মতো সন্ত্রাসীদের লালন-পালন করার পর মমতা ব্যানার্জি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বহাল থাকার নৈতিক কর্তৃত্ব হারিয়েছেন।‘
এদিকে বহিষ্কৃত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহান ফের একবার গোয়েন্দাদের র্যাডারে চলে এসেছে । শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার ঘিরে উঠছে একাধিক প্রশ্ন । প্রথমতঃ, ওই অস্ত্র কি শাহজাহানের সন্দেশখালির বাড়িতেই মজুত করে রাখা হয়েছিল ? বিদেশি অস্ত্র এল কোথা থেকে ? শাহজাহানের বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাতায়াত নিয়ে উঠছে ইসলামি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের যোগের তত্ত্ব । এছাড়া বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের এনে পশ্চিমবঙ্গে তাদের বসতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী শেখ শাহজাহানের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল কিনা সেটাও ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের । সন্দেশখালির হিন্দু মহিলাদের রাতে পিঠে করে দেওয়ার নাম করে গনধর্ষণ,গ্রামবাসীদের জমিতে সমুদ্রের নোনা জল ঢুকিয়ে জোর করে দখল করে নেওয়া,খুন সরকারি অফিসে ঢুকে কর্মীদের উপর হামলা এবং মাছের ব্যবসার নামে রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করার মত মারাত্মক সব অভিযোগের পর এবার যদি বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে শাহজাহানের যোগসূত্র পাওয়া যায় তাহলে তার এবং তার রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে আরও সমস্যার মুখে পড়তে হবে বলে মনে করা হচ্ছে ।।