এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৫ এপ্রিল : ২০১৬ সালে এসএসসির প্যানেলে নিয়োগ হওয়া নবম, দশম, একাদশ, দ্বাদশ, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি শিক্ষাকর্মী মিলিয়ে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্টে । এনিয়ে চরম অসন্তুষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রীমো মমতা ব্যানার্জি । বৃহস্পতিবার দুপুরে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অসিত মালের সমর্থনে আউশগ্রামে নির্বাচনী জনসভায় আদালতের রায়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন,’আমিও আইনের ছাত্রী ছিলাম । এখনও আমি বার কাউন্সিলের সদস্য আছি । আমি যেকোনো দিন কোর্টে ল’ইয়ারগিরি করতে পারি । আমি বিচারকদের নিয়ে কথা বলবো না, কিন্তু জাজমেন্ট নিয়ে কথা বলার অধিকার আমার আছে । আমি মানি(আদালতের রায়) না । যদি কেউ অন্যায় করে থাকে তুমি স্কুটিনি করতে পারতে। তুমি পরামর্শ দিতে । তা না করে একসঙ্গে ২৬ হাজার ছেলে মেয়ের চাকরি খেয়ে নেওয়া, এটা মজা নাকি ? এটা কি মগের মুলক?’
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর রাজ্যের বিভিন্ন মহল থেকে আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠছিল । শেষ পর্যন্ত আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য,অনিন্দ্য সুন্দর দাস এবং কৌস্তভ বাগচীর তিনটি আলাদা আলাদা আবেদনের ভিত্তিতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করল কলকাতা হাইকোর্ট । এখন এই মামলা কার বেঞ্চে যাবে তা ঠিক করবেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ।
তবে শুধু চাকরি বাতিল নিয়ে অসন্তোষই নয়, মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা হাইকোর্টকে বিজেপির একটা মহা ‘তীর্থক্ষেত্র কেন্দ্র’ বলেও কটাক্ষ করেন ওইদিন । তিনি বলেন, ‘বিজেপি পিল(PIL)করলেই যা বলবে একেবারে তাই হবে । আর অন্য কেউ যদি বিচার চায় তাদের জন্য দরজা বন্ধ । কোন বিচার পাবেন না । বিজেপির কথায় ডাকাতদের বেল দিচ্ছে, মাফিয়া দের বেল দিচ্ছে, আর সবচেয়ে বড় গাদ্দারের বিরুদ্ধে খুনের কেস থাকা হত তাকে বলছে গ্রেপ্তার করা যাবে না । এটাই কি আইন?’ মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর ওইদিনই ইমেল করে কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী ।।