প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৫ এপ্রিল : কখনো ‘গুড় বাতাসা’ কখনো ‘চড়াম চড়াম ঢাক’ । আগের নির্বাচন গুলিতে এমনই সব ‘ডায়লগ’ দিয়ে ভোটের ময়দান কাঁপাতেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট। এখন তিনি তিহার জেলবাসী । তবে জেলে থাকলেও অনুব্রত যেন রয়েই গেছেন ভোটেরই ময়দানে। এবারের ভোটে তাকে বড়ই ‘মিস’ করছেন তৃণমূল সুপ্রিয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের জনসভা থেকে সেই অভিব্যক্তি শোনা গেল তৃণমূল সুপ্রিমের গলায়। কেষ্টহীন ভোট যেন মমতার কাছেও বড় আক্ষেপের।
কেষ্টর গড় হিসাবেই পরিচিত আউশগ্রাম। এতদিন প্রত্যেকটি ভোটে আউসগ্রামে কেষ্টর কথাই শেষ কথা বলে বিবেচিত হত।ভোটের কাণ্ডারিও থাকতেন তিনি । আউশগ্রামের জনসভায় উপস্থিত মানুষজনকে সেকথা স্মরণ করে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘কেষ্টকে আপনারা কত ভালোবাসতেন। ও মাটির ছেলে। ওর অগুন কি আছে আমি জানিনা। আইন আইনের পথে চলবে। কিন্তু একটা গরীব লোক যদি ওর কাছে গিয়ে দাঁড়াতো, ও কাউকে কোনদিনও ফিরিয়ে দিত না । জেলাটাও ছিল ওর হাতের মুঠোয়। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিভিউ মিটিংয়ে গিয়ে আমি দেখেছি, ও কিভাবে কাজ করতো।প্রতিটি ইলেকশনে ওকে নজরবন্দি করে রেখে দিত, যাতে করে ও ইলেকশনের দিন বেরুতে না পারে ।’
অনুব্রতর কথা বলতে গিয়ে ঘুরিয়ে সিবিআই ও ইডি কে এক হাত নেন তৃণমূল সুপ্রিমো । তিনি বলেন,’যে কারুর বাড়িতে রেড করে বলছে, হয় বিজেপিতে যাও নয়তো জেলে যাও। মমতা এদিনেও বলেন,’তৃণমূলকে চোর বলার আগে মহারাষ্ট্র ও উত্তর প্রদেশের রিপোর্ট বের কর। সাথে সাথে এজি রিপোর্ট বের কর। ওরা তা দেয়নি। এর জন্য আমাদের এমপিরা পার্লামেন্টে আন্দোলন করেছে,ধরনা করেছে। মার খেয়েছে।’ পাশাপাশি রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে মমতা এদিন প্রশ্ন তোলেন,’কেষ্ট অ্যারিষ্ট হলে কেন গদ্দার অ্যারেস্ট হবে না ।’।