এইদিন ওয়েবডেস্ক,মেঘালয়,২৩ এপ্রিল : মেঘালয়ের মেলা চলাকালীন গারো পাহাড়ের ৪ জন নাবালিকা হিন্দু মেয়েকে ২৫ জন মুসলিম দ্বারা গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে । গুয়াহাটির লিগ্যাল রাইটস অবজারভেটরি নামে একটি সংস্থার এক্স হ্যান্ডেলে একটি টুইট করে বলা হয়েছে,’আসাম-মেঘালয় সীমান্তে বার্ষিক “চেঙ্গা বেঙ্গা” মেলা চলাকালীন মেঘালয়ের গারো পাহাড়ের ৪ জন নাবালিকা হিন্দু মেয়েকে ২৫ জন জিহাদী দ্বারা গণধর্ষণ করার আতঙ্ক বিদারক খবর; বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ সালমারা-মানকাচর জেলা থেকে আগত জিহাদিদের দ্বারা ৪ জন নাবালিকা হিন্দু মেয়েকে অপহরণ, বন্দিদশায় গণধর্ষণ এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। গারোবাধা থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি!’ সংস্থাটি আসাম ও মেঘালয় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে লিখেছে,’আমরা মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্বকে সরাসরি ডিজিপি আসাম পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাই। আসাম পুলিশ অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিক এবং দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের জন্য আদালতে পাঠাক ।’ পাশাপাশি এনসিপিসিআর চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগোকে অপরাধের ঘটনাস্থল তদন্তের জন্য কমিশন দল মোতায়েন করার আহ্বান জানানো হয়েছে । বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ, মেঘালয় পুলিশের কাছেও আবেদন জানিয়েছে ওই সংস্থা ।
জানা গেছে,ওই সংস্থার টুইট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে তোলপাড় পড়ে যায় । সংবাদপত্র ইন্ডিয়া টুডে সত্য জানতে এসপি (সাউথ ওয়েস্ট গারো হিলস) বিকাশ কুমারের সাথে যোগাযোগ করে । তিনি বলেছিলেন যে নির্যাতিতাদের মধ্যে দুই নাবালক ছেলে এবং দুই নাবালিকা রয়েছে। তিনি বলেন, ঘটনাটি গতব১৬ এপ্রিল ঘটলেও দুই দিন পর ১৮ এপ্রিল জানানো হয় ।
ইন্ডিয়া টুডেকে এনই জানিয়েছে (আর্কাইভ লিঙ্ক) যে ঘটনার দিন দুই নাবালক ছেলে এবং দুই কিশোরী ‘চেঙ্গা বেঙ্গা মেলা’ মেলা প্রাঙ্গন থেকে প্রায় ২৫০ মিটার দূরে ছিল। তখন তাদের স্থানীয় কিছু মুসলিম ঘিরে ফেলে এবং তাদের একটা ঘরের মধ্যে আটকে রাখে । সেখানে তাদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয় এবং একটি মেয়েকে গণধর্ষণ করা হয়। প্রতিবেদন অনুসারে, এই মামলায় একটি এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে ১০-১৫ জন মুসলিম পুরুষ এই ঘটনার সাথে জড়িত ছিল।
এসপি বিকাশ কুমার বলেছেন,আটকে রাখা এক মেয়ে পুলিশের কাছে তার বিবৃতিতে বলেছে যে তাকে শারীরিকভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করা হয়েছিল, অন্য মেয়েটির মেডিকেল রিপোর্টে দেখা যায় যে তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল । এই ঘটনা সম্পর্কে জানার পর, তিনি শিশু কল্যাণ কমিটির (সিডব্লিউসি) সাথে যোগাযোগ করেন এবং মেয়েটিকে যথাযথ চিকিৎসা এবং পরামর্শ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।।