এইদিন ওয়েবডেস্ক,লন্ডন,২৩ এপ্রিল : ইউরোপীয় দেশগুলিতে মুসলিম অভিবাসীদের কার্যত ঝড় উঠেছে । প্রতি বছর বিভিন্ন ইসলামি দেশের লক্ষ লক্ষ নাগরিকরা সমুদ্রপথে নৌকায় চড়ে ঢুকে পড়ছে ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি,জার্মানির মত ইউরোপের দেশগুলি । ফলে ওই সমস্ত দেশগুলিতে একদিকে যেমন হঠাৎ করে জনসংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে অন্যদিকে তেমনি ইসলামি কট্টপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে । যেকারণে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গিয়ে কার্যত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে দেশগুলির নিরাপত্তা বাহিনীকে । ইউরোপীয় দেশগুলিতে অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়নের দাবি উঠছে দীর্ঘ দিন ধরে । এই বিষয়ে ঋষি সুনাকের নেতৃত্বাধীন ব্রিটিশ সরকার উল্লেখযোগ্য একটা পদক্ষেপ নিয়েছে ।
ব্রিটেন অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে একটি নতুন এনফোর্সমেন্ট স্কিম চালু করছে বলে জানা গেছে । খবরে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সেই পরিকল্পনা অনুমোদনও করেছে, যে অনুযায়ী অবৈধ অভিবাসীদের রুয়ান্ডায় পাঠানো হবে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস নিউজ এজেন্সি একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলেছে যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের প্রস্তাবিত একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট, যার ভিত্তিতে ছোট নৌকায় পাচার করা অবৈধ অভিবাসীদের এই দেশে পৌঁছানোর পর তাদের ফের আফ্রিফার পূর্ব-মধ্যাংশের রাষ্ট্র রুয়ান্ডায় পাঠানো হবে । প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে এই প্রকল্পটি আগামী জুলাইয়ে বাস্তবায়িত হবে এবং রুয়ান্ডায় এই অবৈধ অভিবাসীদের মামলা তদন্ত করা হবে।
উল্লেখ্য,আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে রুয়ান্ডাতেই জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। হুটু ও টুটসি উপজাতি জনগোষ্ঠীর এই দেশের জনসংখ্যা এক কোটির অধিক । উর্বর ও পাহাড়ী ভূমি অধ্যুষিত এই দেশটতে ১৯৯৪ সালের ভয়াবহ জাতিগত দাঙ্গা ও গৃহযুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বের নজরে আসে।এতে আট লাখ নাগরিক নিহত হয় । গণহত্যার শিকার অধিকাংশই ছিল সংখ্যালঘু তুতসি সম্প্রদায়ের। রুয়ান্ডার চারিদিকে রয়েছে উগান্ডা, বুরুন্ডি, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, এবং তানজানিয়া প্রভৃতি ছোট ছোট রাষ্ট্রগুলি ।।