হনুমান জয়ন্তীও হয় চৈত্র পূর্ণিমার দিনে। আজ ২৩ এপ্রিল, সেই পবিত্র তিথি । এই দিনে করা কিছু ভুল দেবী লক্ষ্মী এবং হনুমানজিকে রুষ্ট করতে পারে । হিন্দু ধর্মে, চৈত্র পূর্ণিমার তারিখটি দেবী লক্ষ্মীকে উৎসর্গ করা হয়। হনুমান জয়ন্তী চৈত্র পূর্ণিমার দিনেও পড়ে, যা এই দিনটিকে বিশেষ করে তোলে। হনুমান জয়ন্তীর পূর্ণিমা তিথিতে পূর্ণ আচারের সাথে দেবী লক্ষ্মী ও হনুমানজির পূজা করলে আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে চৈত্র পূর্ণিমার দিনে করা কিছু ভুলও আপনার ভাগ্যকে উল্টে দিতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক চৈত্র পূর্ণিমা বা হনুমান জয়ন্তীতে কী করা উচিত নয়।
হনুমান জয়ন্তী, চৈত্র পূর্ণিমায় কী করবেন না?
দুধ ও রৌপ্য দান- চৈত্র পূর্ণিমার দিনে দুধ ও রূপার দান পরিহার করতে হবে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে চৈত্র পূর্ণিমার দিনে দুধ ও রৌপ্য দান করলে চন্দ্রদোষ হয় এবং আর্থিক অবস্থারও প্রভাব পড়ে।
ঘর অন্ধকার রাখা – চৈত্র পূর্ণিমার দিনে ঘরে অন্ধকার থাকা চলবে না। কথিত আছে যে ঘরে অন্ধকারের কারণে দেবী লক্ষ্মী থাকেন না। তাই হনুমান জয়ন্তীর দিন বাড়ির কোনও কোণ যেন অন্ধকার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
তামসিক ভোজন – দেবী লক্ষ্মী ও হনুমানজীর কৃপা পেতে চৈত্র পূর্ণিমার হনুমান জয়ন্তীর দিন তামসিক ভোজন করবেন না। এই দিনে মাংস এবং মদ খাওয়া দেবী লক্ষ্মীকে অসন্তুষ্ট করতে পারে।
ছেঁড়া পুরানো কাপড় পরিধান -চৈত্র পূর্ণিমার হনুমান জয়ন্তীর দিন পুরানো, ছেঁড়া বা কালো রঙের কাপড় পরা উচিত নয়। পূর্ণিমা তিথি দেবী লক্ষ্মীকে উৎসর্গ করা হয়। তাই এই দিনে ছেঁড়া বা কালো রঙের পোশাক পরা শুভ বলে মনে করা হয় না। দেবী লক্ষ্মীর কৃপা পেতে আপনার গোলাপী বা লাল রঙের পোশাক পরা উচিত। হনুমানজির কৃপা পেতে লাল বা গেরুয়া রঙের পোশাক পরুন।।