সুন্দর একটা ভোরের স্বপ্নে রাত কাটিয়ে দেওয়া সহজ হবে ভেবে ঠায় বসেছিলাম জানালাখানি জুড়ে।
আকাশের বুকে তখন চাঁদের আলোর গা-জোয়ারী দাপট।
ওর জ্যোৎস্নামাখা ভরা সংসার দেখে আহত মনও যেন রঙীন হয়, খুশির পালকে সেজে ওঠে আপাদমস্তক।
বিস্মৃত হওয়া যত স্বপ্নসুখের সম্ভার — হৃদয়ের গহ্বর থেকে তুলে এনে আদরে, যত্নে, কিংবা আনমনে নাড়াচাড়া করতে ভালো লাগে খুব।
অতৃপ্ত বাসনার মতো আকুতিও যেন কেমন হৃদয়ের কলকব্জা গুলোকে নাড়া দিয়ে জাগিয়ে দিতে চায়, বারবার।
আলো মাখা পৃথিবীর গায়েও তখন সুখের ছায়াছবির কতশত দৃষ্টিনন্দন দৃশ্যপট, যেন হাতছানি দেয়, ডাক দেয় হারিয়ে যাওয়ার সঙ্গী হতে।
মন ভরে যায়। ভাবি, অনন্ত অপেক্ষা বুঝি ফুরলো এবার …
থমকে যায় চোখ,
ধূ ধূ প্রান্তরের গায়ে কুয়াশার চাদরে আঁকা কিছু অদৃশ্য ধারাপাত,
এমন মায়াবী রাতেও এই জনমানবহীন চরাচরে
কেমন যেন একাকীত্বের বিকট বাজনা বেজেই চলেছে।
মন ভার হয়ে আসে।
হৃদয় পাড়ায় ওঠে বিধ্বংসী ঝড়।
সাজানো চিত্রপটের মতোই জীবনের কালো কালো অধ্যায়গুলো কেমন সু-স্থির হয়ে গন্ডী কেটেছে স্বেচ্ছায়। থমকে যাওয়া ভারী মনটা ডুবে যায় ক্রমে
কি যেন এক অতলান্তিক বিষাদে!
প্রাপ্তির ঝুলিতে চোখ রাখা নিরর্থক।
ভাবি, ভোরের অপেক্ষায় রাত্রি যাপনই বোধহয় চিরন্তন সুখ।
আর ফুরিয়ে যাওয়ার আগে ভোরের গায়ে হেলান দেওয়ার আকুতিটাই আসলে ‘জীবন’।।