এইদিন ওয়েবডেস্ক,বেঙ্গালুরু,২২ এপ্রিল : কর্ণাটকের হুবলির কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে ফায়াজ নামে একই কলেজের এক প্রাক্তন সহপাঠীর হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন কংগ্রেস কাউন্সিলর নিরঞ্জন হিরেমঠের মেয়ে নেহা। ভারতে ‘লাভ জিহাদ’-এর ঘটনার এটি সাম্প্রতিক নিদর্শন । খোদ নিরঞ্জন হিরেমঠে ঘটনাটি লাভ জিহাদ হিসাবে অবিহিত করে হিন্দু অবিভাবকদের নিজের নিজের মেয়েদের উপর নজর রাখার জন্য বার্তা দিয়েছিলেন । এদিকে এই ঘটনাকে “ট্রু লাভ” বলে ন্যায্যতা দিয়ে ঘাতক ফায়াজকে বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল কর্ণাটকের কিছু জিহাদি । অবশেষে রবিবার(২০ এপ্রিল) সাদিক ইমাম সাব তাদাকোদা এবং আদিল নামে দুই জিহাদিকে গ্রেফতার করেছে কর্ণাটকের পুলিশ ।
নেহা হিরেমঠের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল ১৮ এপ্রিল হুবলির বিভি ভুমরাদ্দি কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ক্যাম্পাসের মধ্যে প্রকাশ্য দিবালোকে । ফায়াজ প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল নেহাকে । কিন্তু সে মুসলিম ধর্মসপ্রদায়ের হওয়ায় তার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন নেহা । তার জেরে নেহাকে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে জিহাদি ফায়াজ । এই ঘটনায় গোটা রাজ্যের মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে এবং ঘাতকের মৃত্যুদণ্ডের জন্য দাবি জানাচ্ছে ।
এদিকে ঘাতক ফায়াজের শাস্তি লঘু করার জন্য ইসলামি জিহাদিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার শুরু করে দেয় । ফায়াজের হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডকে যুক্তিযুক্ত করে “প্রেমের জন্য ন্যায়বিচার” এবং “জাস্টিস ফর ট্রু লাভ”-এর মতো ক্যাপশন সহ অসংখ্য পোস্ট করে ধারওয়াড়ের বাসিন্দা দুই জিহাদি সাদিক ইমাম সাব তাদাকোদা এবং আদিল । নাবিলা জামালসহ কয়েকজন তথাকথিত সাংবাদিকও বিষয়টিকে ‘লাভ স্টোরি’র সঙ্গে যুক্ত করে প্রচার চালাতে শুরু করে দেয় । এনিয়ে বিদ্যাগিরি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন হিন্দু সংগঠনের এক কর্মী। এরপর পুলিশ নড়েচড়ে বসে এবং দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে । পাশাপাশি এলাকাবাসীকে বিভ্রান্তি ছড়ানো পোস্ট না করার জন্য সতর্ক করেছে পুলিশ ।।