এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,১৯ এপ্রিল : পাকিস্তান ও বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর সংখ্যাগুরু মুসলিমদের নির্যাতন নতুন কোন ঘটনা নয় । নিত্যদিন খুন,ধর্ষণ,লাভ জিহাদে মেয়েদের ফাঁসানো, দোকান- বাড়ি ভাঙচুর লুটপাট অগ্নি সংযোগের মতো ঘটনা ঘটে থাকে ওই দুই ইসলামী রাষ্ট্রে । সাধারণত ওইসব ঘটনায় প্রত্যাঘাতের পথে না গিয়ে আইনের আশ্রয় নেয় দুই দেশের হিন্দুরা ৷ কিন্তু দুই ইসলামী রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থার কোন সহযোগিতার তারা পান না বলে অভিযোগ ৷ এবারে বাংলাদেশের নির্যাতিত হিন্দুরা আইন নিজেদের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হলেন ।
হিন্দু ভয়েসের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল বলা হয়েছে যে বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার কৃষ্ণনগর এলাকার একটি কালী মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল দুই জিহাদী । হিন্দুরা জিহাদীদের হাতেনাতে ধরে ফেলে এবং ক্ষিপ্ত জনতা তাদের পিটিয়ে মেরে ফেলেছে । বলা হয়েছে যে ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার(১৮ এপ্রিল ২০২৪) রাতে ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, কালী মন্দিরে ঠিক পাশেই রয়েছে একটি স্কুল । ক্ষিপ্ত জনতার রুদ্ররূপ দেখে দুই জিহাদি ওই স্কুলের ভিতর ঢুকে পড়ে । কিন্তু জনতা গোটা স্কুলটি ঘিরে ফেলে তাদের পালানোর পথ বন্ধ করে দেয় । তারপর শুরু হয় গণধোলাই । আর তাতেই ঘটনাস্থলে দুই জিহাদির মৃত্যু হয় । এলাকায় উত্তেজনা থাকায় টহল দিচ্ছে বিশাল পুলিশ বাহিনী ।
এই ঘটনার ঠিক দুদিন আগে,১৭ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীতে আরো একটি হিন্দু মন্দিরে হামলা চালায় স্থানীয় মুসলিমরা । হামলার আগে স্থানীয় মসজিদের লাউডস্পিকার মন্দিরে হামলার কথা ঘোষণা পর্যন্ত করা হয় বলে অভিযোগ । ইসলামিক কট্টরপন্থী দল মন্দিরের বাসন্তী মাতার মূর্তি ভেঙ্গে দেয় । ওই ঘটনার পর থেকেই স্থানীয় হিন্দুরা ক্ষোভে ফুঁসছিল । তারই প্রতিফলন দেখা গেল বৃহস্পতিবার রাতে মধুখালী উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামে ।।