রৌদ্রতপ্ত বৈশাখের অগ্নিস্নানে
সারা দেহ উত্তপ্ত ঝলসানো,
শুষ্ক ওষ্ঠ বৈশাখী গানে গানে
সহস্র যন্ত্রনা নীরবে হানো।
পথের প’রে ঠিকানা বিহীন বধূ
দাবানলের সাথে ক্ষুধার্ত উদরে,
শিশুটির তরে একবেলার খাদ্য শুধু
আনতে গিয়েছিল কাকভোরে।
মাথায় ভারী ইটের বোঝা
ঘাম ঝরে চোখে মুখে,
নোনা জলে খাদ্য খোঁজা
শিশুটি থাকে যদি সুখে।
খেটে খাওয়া মানুষের জ্বালা
মনের ভিতরে বাইরে পাশাপাশি,
উত্তপ্ত হাওয়া আগ্নেয়গিরির গালা
তার জীবনের খুব কাছাকাছি।
ঠান্ডা ঘরের মানুষের হাসি
তাদের রক্তঝরা ঘামে ভেজা,
তাদের ভাগ্যে জোটেনা রুটি বাসি
একমুঠো ফ্যান ভাত খোঁজা।
দাবানলের তাপে দগ্ধ পশুপাখি
নদীনালা শুষ্ক জমি ফাটি,
স্তব্ধ তাদের সুখের ডাকাডাকি
কালবৈশাখী ভেজাও খানিক মাটি।
তপ্ত বৈশাখীর সাদর নিমন্ত্রণে
এসো উগ্ৰ মাতাল কালবৈশাখী,
ভেজাও উত্তপ্ত দগ্ধ ভূমি
একটু শীতলতার ছোঁয়া মাখি।।