প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৪ এপ্রিল : ঐশ্বরিক প্রতীক ত্রিশূল হিন্দু ধর্মেরও অন্যতম প্রধান প্রতীক।ভোট যুদ্ধে নেমে অশুভের বিনাশের বার্তা দিতে ঐশ্বরিক ভাবনায় মোড়া সেই ত্রিশূল হাতে তুলে নিলেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ । বাংলা নববর্ষের দিন সকালে ত্রিশূল হাতে নিয়ে হেঁটেই বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ পৌছে যান বর্ধমানেশ্বর শিব মন্দিরে।সেখানে ভক্ত অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে ত্রিশূল হাতে তিনি ’পোজ’ দেন।তবে ভোটের বাজারে দিলীপ ঘোষ ত্রিশূলধারী হয়ে আসলে কি বার্তা দিতে চাইলেন সে নিয়েই এখন চর্চা তুঙ্গে ।
দিলীপ ঘোষ অবশ্য তাঁর ত্রিশূলধারী হওয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন,যখনই অশুভ শক্তি আর পাপের প্রতাপ বেড়েছে তখনই বাবা ত্রিশূল হাতে নিয়েছেন।তাণ্ডব নৃত্য করেছেন। আমার কুলদেবতা শিব।তারই প্রেরণায় আমরা স্বচ্ছ ভারত গড়ার ভাবনা নিয়ে স্বচ্ছ রাজনীতি করতে চাই।এই ত্রিশূল তারই প্রতীক। কিন্তু ভোট রাজনীতির উত্তাপের মাঝে আত্মরক্ষার জন্যই কি ত্রিশূল হাতে নেওয়া ? উত্তরে দিলীপ বলেন,’আত্মরক্ষা নয়, দেশরক্ষা। সব রক্ষাই হয়ে যাবে।’
পয়লা বৈশাখের দিন দিলীপ ঘোষ বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরেও যান। সাধারণ মানুষ সঙ্গে কথা বলেন। জনসম্পর্ক করেন।বর্ধমান শহরের এক বিজেপি সমর্থকের দোকান তিনবছর ধরে তালাবন্ধ জানতে পেরে এদিন দিলীপ ঘোষ তৃণমূলকে একহাত নেন । তিনি বলেন,’২০২১ ভোটের পর থেকে বিজেপি সমর্থকের দোকানে তালা মেরে দিয়েছে টি এম সি। এখনো দোকান খোলেনি। টি এম সি র অফিস গুলোতে যখন তালা পড়বে তখন এগুলো খুলবে।এবার সেটা হবে।’
রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন,’ভোটের সময় দিলীপ ঘোষ কখনো লাঠি, কখনো ত্রিশূল হাতে নিয়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছেন। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাবো।’।