এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),১৪ এপ্রিল : পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার গঙ্গার ঘাটগুলি কার্যত মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে । গঙ্গার ঘাটে স্নান করতে নেমে নদীগর্ভের খাদের মধ্যে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যুর একের পর এক ঘটনা ঘটলেও হেলদোল নেই কাটোয়া পুরসভা ও প্রশাসনের । ফের স্নান করতে নেমে বেঘোরে প্রাণ হারাতে হল ১৮ বছরের এক তরতাজা তরুণকে । কাটোয়ার মরিঘাটের কাছে ভাগীরথীতে স্নান করতে গিয়ে গভীর ঘাদে তলিয়ে গেল সুমন মণ্ডল নামে এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী । স্নানঘাটে থাকা কয়েকজন গাজন সন্ন্যাসীর তৎপরতায় বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে যায় তরুনের খুড়তুতো ভাই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অনিকের(১৬) । খবর পেয়ে পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের বাহিনী এসে ওই তরুনের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে । তবে এদিন বিকেল পর্যন্ত ওই পড়ুয়ার কোনো হদিশ করতে পারেনি বলে জানা গেছে ।
জানা গেছে,সুমন মণ্ডলের বাড়ি দাঁইহাট শহরের রাজাপুকুর পাড় এলাকায় । তার বাবা সুশান্তবাবু কর্মসূত্রে খরদহে থাকেন । বাবা-মায়ের সঙ্গে সেখানেই থাকত সুমন । সুমন ও অনিক কাটোয়া শহরের আদর্শপল্লী এলাকায় পিসি রীতা হাওলাদারের বাড়িতে এসেছিল চরকের মেলা দেখতে । পিসির বাড়ির ভাড়াটিয়া পরিবারের ছেলে সুবীর সাহা (১৬)কে সঙ্গে নিয়ে সুমন ও অনীক আজ রবিবার দুপুরে কাটোয়ার মরিঘাটের কাছে ভাগীরথীতে স্নান করতে আসে ।
জানা যায়,সুমন ও অনীক নদীর জলে স্নান করার সময় হঠাৎ গভীর খাদে পড়ে তলিয়ে যায় । সেই সময় গঙ্গাস্নান করতে গিয়েছিলেন কয়েকজন গাজন সন্ন্যাসী । তারা জলে ঝাঁপ দিয়ে অনীককে ধরে ফেলে এবং তাকে টেনে পাড়ে নিয়ে আসে । কিন্তু বহু খোঁজাখুঁজি করেও তারা সুমনের কোনো সন্ধান করতে পারেনি ।
এর আগে গত ১৭ মার্চ ভাতার থানার ভাঁটাকুল গ্রামের বাসিন্দা ২২ বছরের যুবক বিজন কুণ্ডু কাটোয়ার বাজারেঘাটে গঙ্গাস্নান করতে গিয়ে মায়ের চোখের সামনেই নদীর গভীর খাদে পড়ে তলিয়ে যায় । দিন দুয়েক পরে ঘটনাস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে নদীর জলে পানার মধ্যে তার দেহ ভাসতে দেখা যায় । বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন বিজন ।।