এইদিন ওয়েবডেস্ক,কঙ্গো,১৩ এপ্রিল : কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের বেনি শহরের কাছে শুক্রবার সন্দেহভাজন ইসলামপন্থী সন্ত্রাসবাদীরা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে কমপক্ষে ১০ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং জাতিসংঘের একটি সূত্র জানিয়েছে । মুলেকেরার মেয়র এনগোঙ্গো মায়াঙ্গা আজ শনিবার বলেছেন, বেনির বাইরে মুলেকেরা কমিউনে মাঠে কাজ করা খেতমজুরদের লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা নির্বিচারে গুলি চালায় । তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত সাতটি মৃতদেহ সংগ্রহ করা হয়েছে, যার মধ্যে তিনজন মহিলার রয়েছে, আরও পাঁচজনের মৃতদেহ অন্যত্র পাওয়া গেছে ।’ তিনি আরও বলেন,’অবশ্যই আরও কিছু মৃতদেহ আছে যা আমরা অনুসন্ধান চালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে খুঁজে পাব ।’ তিনি ইসলামি সংগঠন অ্যালাইড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এডিএফ)কে হামলার জন্য দায়ী করেছেন ৷
পূর্ব কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে,১০ জন নিহত হয়েছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এডিএফ- এর উৎপত্তি প্রতিবেশী উগান্ডা থেকে হয়েছে । এখন পূর্ব কঙ্গোতেও তারা ছড়িয়ে পড়েছে, এই সংগঠনটি কুখ্যাত ও নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের প্রতি আনুগত্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং ঘন ঘন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে । যেকারণে এই অঞ্চলকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলেছে । কঙ্গোয় অনেক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা ।
সর্বশেষ হামলার একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন যে তিনি একটি মাঠে কাজ করছিলেন, যখন তিনি তার পুত্রবধূর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন তার কিছুক্ষণ পর গুলির শব্দ শুনতে পান।তিনি বলেন,’আমার পুত্রবধূ বিপরীত দিকে গিয়েছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তখনই তাকে হত্যা করা হয়েছিল । কিন্তু আমি বনে পালিয়ে গিয়েছিলাম এবং জঙ্গিদের ভয়ে সেখানেই রাত কাটিয়েছিলাম ।’
উল্লেখ্য,কঙ্গোর সেনাবাহিনী এবং অসংখ্য ইসলামি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর মধ্যে কয়েক দশকের সংঘাত পূর্ব কঙ্গোকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে এবং দীর্ঘমেয়াদী মানবিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ-এর মতে, গত বছর ধরে হামলা আরও তীব্র হয়েছে এবং মার্চের শেষে সহিংসতার কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭.১ মিলিয়নে ।।