এইদিন স্পোর্টস নিউজ,১৩ এপ্রিল : ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭ তম মরসুমের ২৬ তম ম্যাচটি লখনউ সুপার জায়ান্টস এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যে খেলা হয়েছিল । সবাই তাদের ঘরের মাঠে লখনউ দলের কাছ থেকে আরও ভালো পারফরম্যান্স আশা করেছিল, কিন্তু এই ম্যাচে তারা প্রথমে ব্যাট করে ৯৪ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে অনুরাগীদের হতাশ করে ।লখনউকে লড়াইয়ে ফেরান আয়ুষ বাদোনি। তাঁর ৩৫ বলে ৫৫ রানের ঝোড়ো ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৭ রানে থামে লখনউয়ের ইনিংস।
এর পর লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে দিল্লি ভালো শুরু করতে পারেনি । তবে অধিনায়ক ঋষভ পন্থের ৪১ এবং আইপিএলে অভিষেক হওয়া জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্কের ৫৫ রান তাদের ১৮.১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে দেয় । এই ম্যাচে হারের পর লখনউ দলের অধিনায়ক কে এল রাহুল বাজে ব্যাটিংকেই পরাজয়ের মূল কারণ হিসাবে দেখা হচ্ছে ।
দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ম্যাচে হারের পর, লখনউ সুপার জায়ান্টস দলের অধিনায়ক কেএল রাহুল তার বিবৃতিতে বলেছেন,’এই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে আমরা ১৫ থেকে ২০ রান কম করেছি। ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো করলেও পরে হঠাৎ দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম। এই পিচে আমাদের ১৮০ রান করা উচিত ছিল। পিচে বল খুব ধীরে আসছিল এবং কুলদীপের বোলিং আমাদের অনেক কষ্ট দিয়েছে। জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক, যিনি প্রথমবারের মতো আইপিএল খেলছেন, আমরা তার ব্যাটিংয়ের অনেক ভিডিও দেখেছি কিন্তু সে আরও ভালো শট খেলেছে। বোলিংয়ে আমরা পাওয়ার প্লে চলাকালীন অবশ্যই ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেট পেয়েছিলাম এবং ম্যাচটি ১০ ওভার পর্যন্ত আমাদের হাতে ছিল কিন্তু ক্যাচ ড্রপ আমাদের পক্ষে ক্ষতিকর প্রমানিত হয় । তারপর ফ্রেজার আবার আমাদের এই ম্যাচে ফিরে আসার কোন সুযোগ দেননি।’
কেএল রাহুল তার বিবৃতিতে আরও বলেছিলেন যে অক্ষর প্যাটেল যখন বোলিং করেছিলেন তখন তিনি খুব বেশি স্পিন পাননি, তাই সেই পরিস্থিতিতে আমরা বোলারদের উপর চাপ তৈরি করতে পুরানকে তাড়াতাড়ি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, তবে আমাদের কুলদীপকে কৃতিত্ব দিতে হবে যিনি এতে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন ।’ মায়াঙ্ক যাদব সম্পর্কে রাহুল বলেন যে তিনি এখন আগের চেয়ে অনেক ভাল কিন্তু আমরা তাকে নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে চাই না। আমাদের তার যত্ন নিতে হবে যাতে সে পুরোপুরি ফিট হওয়ার পরই মাঠে ফিরতে পারে।
টসে জিতে এদিন প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় লখনউ। কিন্তু ম্যাচের প্রথম থেকেই ধারাবাহিক ভাবে উইকেট খোয়াতে থাকে তারা। অধিনায়ক রাহুল (৩৯) একটা দিক ধরে থাকলেও তাঁকে সঙ্গ দেওয়ার কেউ ছিলেন না। পাঁচ ওভারের মধ্যেই দিল্লির ডি কক (১৯) ও দেবদত্তকে (৩) ফেরালেন খলিল আহমেদ। ৯৪ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা লখনউকে লড়াইয়ে ফেরালেন আয়ুষ বাদোনি। তাঁর ৩৫ বলে ৫৫ রানের ঝোড়ো ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ১৬৭ রানে থামে লখনউয়ের ইনিংস।
অন্যদিকে শুরুটা ভালো করেন দিল্লির পৃথ্বী শ। দলের ৬৩ রানের মাথায় ফেরেন পৃথ্বী। করেন ২২ বলে ৩২ রান। লখনউয়ের রবি বিষ্ণোই আর যশ ঠাকুরের বোলিং ধীরে ধীরে চেপে বসছিল দিল্লির উপরে। সেই চাপ থেকে দিল্লিকে বের করলেন ঋষভ পন্থ (৪১) আর নবাগত জেক ফ্রেসার (৫৫)। রানের গতিকে দ্রুত বাড়িয়ে দিলেন তাঁরা। বিশেষ করে ফ্রেসারের বিধ্বংসী ইনিংস দিল্লিকে লক্ষ্যে পৌঁছনোর রাস্তা সহজ করে দেয়।।