হঠাৎই তুমি বলে উঠলে হাতটা শক্ত করে ধরো!
নইলে আমি পড়ে যাবো সুমন্ত…
ধরো বলছি, চিৎকার করতে করতে গলাটা মিলে গেল!
লাফ দিয়ে উঠতেই দেখি চারিদিকে অন্ধকার।
দেওয়ালে টাঙানো ঘড়িটায় তখন রাত দু’টো বাজে,
ঘেমে প্রায় স্নান করে গেছে সুমন্ত
বুঝলাম এটা শুধু স্বপ্ন ছিলো!
জল খেয়ে আবারও শুয়ে পড়লাম।
না, কিছুতেই আর ঘুম আসছে না!
চোখ বন্ধ করলেই সেই কণ্ঠস্বর কানে আসছে
দেখতে দেখতে অন্ধকার কেটে ভোরের আলো ফুটেছে ;
রাতের স্বপ্নটা এখনও সুমন্তকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
আজ প্রায় দশ বছর হয়ে গেল তমসার চলে যাওয়ার,
কোনো এক বসন্ত দিনে পড়ন্ত গোধূলি বেলায়
হঠাৎই তমসা কিছু না বলে বাড়ী থেকে বেরিয়ে গেল
কারণটা আজও অজানা সুমন্তর কাছে!
অবশ্য কিছুদিন পর একটা উড়ো খবর পাই
তমসা অন্য কারোর সঙ্গে পালিয়ে গেছে,
কিছুটা হলেও বিশ্বাস করে তমসার কোনো খোঁজ করিনি।
কিন্তু এতো বছর বাদে এইরকম স্বপ্নের মানে কী?
তবে কী তমসা কোনো বিপদে পড়েছে!
এসব কিছুই এলোমেলো ঢেউয়ের মতো দোলা দিচ্ছিলো,
হঠাৎই করিং বেল বেজে উঠতেই চমকে উঠলাম
মনে মনে বললাম এখন আবার কে এলো?
দরজা খুলতেই দেখি একজন ঘোমটা মাথায় দাঁড়িয়ে ;
প্রশ্ন করলাম কে আপনি?
বললো একটু জল কন্ঠস্বরটা খুব চেনা লাগলো!
এক গেলাস জল সামনে এগিয়ে দিলাম
হাত বাড়াতেই দেখলাম শতছিন্ন বস্ত্র
হাতে শেতির মতো সাদা ছোপ
হঠাৎই বলে উঠলো আমাকে ক্ষমা করো সুমন্ত
তমসা তুমি, তবে এটাই ছিলো হারিয়ে যাওয়ার কারণ!