এইদিন ওয়েবডেস্ক,১১ এপ্রিল : আজ বৃহস্পতিবার মুসলিমদের ঈদ উৎসব পালিত হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গসহ দেশ জুড়ে । সকালেই কলকাতার রেড রোডে ইদের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি । রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির নেতাদের ঈদের ইফতারে যোগ দিতে দেখা গেছে । এতে অনান্য দলগুলিকে টেক্কা দিয়েছে সিপিএম ও তৃণমূল কংগ্রেস । এদিকে ঈদের আবহে সিপিএম-তৃণমূলকে কটাক্ষ করে রচিত একটা গান ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায় । ভিডিওতে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ও তৃণমূল নেতা সৌগত রায়কে ঈদের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে খোশ মেজাজে গল্প করতে দেখা গেছে । এছাড়াও অনান্য তৃণমূল ও সিপিএম নেতাদেরও পাশাপাশি দেখা গেছে ভিডিওতে । তবে চলতি ঈদের অনুষ্ঠানে ওই সমস্ত নেতারা যোগ দিয়েছিলেন কিনা তা স্পষ্ট নয় । ভিডিওর গানের লিরিক অতুল প্রসাদ দেন রচিত ভক্তিগীতি, ‘হও ধরমেতে ধীর,হও করমেতে বীর’ আদলে তৈরি করা হয়েছে । সেটি হল :
“খাও ধরমের ক্ষির,ইনকিলাব-নারায়ে তাকবির,
হও ফেজ ঢাকা শির নাহি ভয় ।
ভুলিয়া আফিমের জ্ঞান, হও জোটে আগুয়ান,
সাথে আছে ভাইজান হবে জয় ।”
ভিডিওটি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে ভারতীয় জনতা যুবমোর্চার পশ্চিমবঙ্গের সহ সভাপতি তথা কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী তরুন জ্যোতি তিওয়ারি লিখেছেন,’দমদম বরাহনগর এবং বাঁকুড়ায় তৃণমূল এবং বামপন্থীদের মেলবন্ধন দেখা গেল।অনেকে বলতেই পারেন যে ঈদের অনুষ্ঠান কোন রাজনৈতিক জায়গা নয় এবং সেখানে এমনি গিয়েছিল বামপন্থীরা।ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ধর্মকে আফিম মনে করা লোকজনের কি কাজ? আসলে সব চোর এক হও বলে যে ইন্ডি জোটের গঠন হয়েছিল তারা সবকটা এক। বাম কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে তৃণমূলকে ভোট দেওয়া, তৃণমূলকে ভোট দেওয়া মানে দুর্নীতিকে সমর্থন করা।’
এই ভিডিওতে বিভিন্ন ব্যবহারকারী বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন । কিশোর চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন,’দাদা বামপন্থীদের আর কিছু করার নেই ওরা এখন তৃণমূলের হাত ধরে ফিরে আস্তে চাইছে। বাংলার মানুষ বুঝে গেছে এদেরকে যতই মেলবন্ধন দেখাক ভোট বাক্সে বুঝে নেবে। মুসলিম ভাই এবং বোনেদের বলবো ওদের ফাঁদে পা দেবেন না। ৩৪+১১ টা বছর বাঙালি দের নষ্ট হয়ে গেছে এবার ভাববার সময় এসেছে।’ ডি ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ‘সর্বত্র সিপিএমের ভূত বিজেপিকে তাড়া করে বেরাচ্ছে ।’।