এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১১ এপ্রিল : চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচন এক অর্থে ঐতিহাসিক হতে চলেছে । বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় এগিয়ে রাখা হয়েছে দেশের বর্তমান শাসক দল বিজেপিকে । একটি সর্বভারতীয় বৈদ্যুতিক চ্যানেলের সর্বশেষ সমীক্ষা অনুযায়ী,সারা দেশের পাশাপাশি আনুমানিক ২৫ টি আসন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হতে চলেছে গেরুয়া শিবির । যে কারণে রাজ্যের বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিম মমতা ব্যানার্জির কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে গেছে৷ তৃণমূলের তুরুপের তাস মূলত রাজ্যের মুসলিম ভোট ব্যাংক । যদিও কংগ্রেস ও বামপন্থীরা এবারে জোট করে লড়াই করায় তৃণমূলের মুসলিম ভোট ব্যাংকের থাবা বসাতে পড়ে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে । তাই মুসলিম ভোট ব্যাংককে ধরে রাখতে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো । আজ বৃহস্পতিবার কলকাতার রেড রোডে ইদের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে তারই ইঙ্গিত পাওয়া গেল ।
ভাষণের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘একটা ভোটও যেন অন্য দলে না যায় । সব ভোট যেন তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষেই পড়ে ।’ পাশাপাশি তিনি সিএএ ও এনআরসির প্রসঙ্গ তুলেছেন । এদিন ফের মমতা ব্যানার্জি স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে গায়ের জোরে ওই সমস্ত আইন লাগু করা হলে তিনি কিছুতেই মানবেন না । মুখ্যমন্ত্রী জানান যে এনআরসি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিরুদ্ধেও তাঁর অবস্থান আগের মতোই রয়েছে । তিনি বলেন,’‘নো এনআরসি, নো সিএএ, নো ইউনিফর্ম সিভিল কোড। সব মানুষের নিজস্ব অধিকার রয়েছে ।’
প্রসঙ্গত, এনআরসি ও সিএএ মুখ্যমন্ত্রীর দলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ তুলেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ গেরুয়া শিবির । তাদের অভিযোগ যে সংখ্যালঘুদের বিভ্রান্ত করে তাদের নিজের পালে টানার চেষ্টা করছেন মমতা ব্যানার্জি । শুভেন্দু অধিকারী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সিএএ নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া নয়, বরঞ্চ ধর্মীয় কারণে বাংলাদেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে বিতাড়িত হওয়া হিন্দু,খ্রিস্টান,শিখ,বৌদ্ধ ও জৈন নাগরিকদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্যই এই আইন দেশজুড়ে লাগুক করেছে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকার । এমনকি সিএএ এর আওতায় কারোর নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার দৃষ্টান্ত দেখাতে পারলে তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফাও দেবেন বলে ঘোষণা করেছেন ।।