এইদিন ওয়েবডেস্ক,গোরখপুর(ইউপি),০৪ এপ্রিল : স্বামী ও ৩ সন্তানকে নিয়ে সুখেই সংসার করছিলেন বধু । কিন্তু বছর সাতেক আগে পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক ব্যক্তির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন অবৈধ সম্পর্কে । স্বামী যখন কাজে চলে যেত এবং সন্তানরা স্কুলে, তখন প্রেমিকের সঙ্গে বাড়িতে উদ্দাম শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেন বছর ৩৪-এর ওই মহিলা । একদিন কাজ থেকে ফিরে স্ত্রী ও তার প্রেমিককে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে স্বামী । শুরু হয় অশান্তি । প্রেমিককে ছাড়তে হবে দেখে বধূ বায়না ধরে বসেন তাকেও রাখতে হবে বাড়িতে । কিন্তু স্বামী তার এই আজব প্রস্তাবে সায় দেয়নি । আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সোজা হাই টেনশন লাইনের খুঁটিতে চড়ে বসেন ওই মহিলা । উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের পিপরাইচের ঘটনা ।
জানা গেছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আছে পুলিশ বাহিনী । পরে পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে আসে বিদ্যুৎ দপ্তরের লোকজন । শেষে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ওই মহিলাকে খুঁটি থেকে নামানো হয় । ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া । বিভিন্ন জনা বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন ।
সংবাদমাধ্যমিক খবর, মহিলার স্বামীর শ্রমিকের কাজ করেন । পরিবারের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো নয় । মহিলা তার স্বামীকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে তার প্রেমিককে বাড়িতে থাকতে দিলে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করবে । কিন্তু একই বাড়িতে স্ত্রীর প্রেমিককে নিয়ে থাকতে অস্বীকার করেন স্বামী । আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ওই মহিলা ।
একজন এক্স ব্যবহারকারী ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, ‘বিদ্যুৎ বিভাগের তৎপরতার কারণে তাদের মিলন সম্ভব হবে। তা না হলে মহিলার অতৃপ্ত আত্মা না জানি কাকে গিয়ে আলিঙ্গন করত । ধন্য সেই মহান প্রেমিকা যে এত বড় প্রেমিকা পেয়েছে।’ অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘চতুর মহিলা একটি মাত্র তার ধরে রেখেছেন যাতে বৈদ্যুতিক প্রবাহ অসম্পূর্ণ থেকে যায়।’
একজন বলেছেন, ‘প্রেমিক ও প্রেয়সী দুজনকেই প্রশাসনের জেলে ঢোকানো উচিত, তবেই প্রেমের পুরো কীট বেরিয়ে যাবে ।এ ধরনের প্রেম ভবিষ্যতের জন্য মারাত্মক রোগের আশঙ্কা। আমার এই কথা অনেকেই পছন্দ করবেন না । এখন সময়টাই এই রকম ।’।