এক হৈমন্তীক বৈকালিক আলো
অন্ধকারের গর্ভে বিলীন হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল
আমি আধশোয়া হয়ে ভাবনার হওয়ায় মিশিয়ে দিয়েছিলাম নিজেকে
জিজ্ঞাসা করছিলাম আমি কে ?
প্রতিধ্বনি ফিরে ফিরে এসে মিশে যাচ্ছিল আমার কর্নকূহরে
মাথার উপরে নীলনীলিমা ভেসেছিল মহা শূন্যে।
তৃণ গালিচায় পাতা শয্যা
মন কেমনের বেলায় অন্তহীন কুসুম ছেঁড়া অঞ্জলি
ডিঙা ভাসিয়েছিলেম জ্যোৎস্না-স্নাত রাতে
চুম্বন এঁকেছিল মুসাফির তন্দ্রামগ্ন নিশীথে। সেই এক ঝলক দখিনা বাতাসের ঢেউ খেলা নৃত্য
তরঙ্গায়িত হচ্ছে প্রতিটি অঙ্গে
আমি চলেছি, চলেছি কোন অমৃতলোকে
যেথায় আমি ছিলাম তোমার প্রেয়সী আর তুমি আমার পুরুষ
লীলায়িত কুন্তল সযতনে আঙ্গুল ছুঁয়েছিল প্রিয়ে
কি যেন এক গভীর আবেশ পেয়ে বসেছিল আমায়
নিজেকে মেলে দিলাম, সমর্পণ করলাম নির্দ্বিধায়।
আজ তবে পাষাণের মাঝে পরিত্যাগ কেন করলে মোরে
তোমার জন্য কি সুরঞ্জনা অপেক্ষায় ছিল?
বলনি তো তুমি তাকে ভালোবাস
কেন কেন এ ছলনা? কেন এ বঞ্চনা? সত্য ছিল এ প্রেম মম
মন্দভাগা রমণী আমি? প্রেমে নেই কোন অধিকার?
স্বপ্ন ভাঙা খেলায় শুধু হাহাকার।
লাল শাড়িতে অনুরাগে ছিলেম অলিন্দেতে
কমলার রঙিন ভাঁজে তুমি বলতে বাউল বউ
হলুদ সে তো তোমার কপাল ছুঁয়ে আমাকে ছুঁয়ে দিয়ে গেল গো
আকাশ নীলে ভাসি আমি বেনে বউ ( পাখি)
নীল বেগুনী রামধনু রঙ, বউ কথা কও বউ।
সাদায় কেমন হারিয়ে গেলাম
ভাবনাতে নেই রঙ
উড়িয়ে দিলেম সব কাপড়ই
আলমারিতে জং
চঞ্চলা গো ওই মেয়েটি,কেমন হল শান্ত
রঙ যে তার হারিয়ে যাবে
সে কি তা কখন জানতো?
সঙ্গো হল যত খেলা
স্তব্ধতায় সারা বেলা তোমার কথা ভেবে
সাদায় রঙিন কাব্য লিখি যে কটাদিন আছি এ ভবে।
এ এক পরম শান্তির রামধনু রঙ আমার অনুভবে।।