এইদিন ওয়েবডেস্ক,তেল আবিব,০৩ মার্চ : মঙ্গলবার রাতে মধ্য ইসরায়েলের কোচাভ ইয়ার শহরের কাছে সন্ত্রাসী হামলায় চার পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন । কোচাভ ইয়ার জংশনের কাছে চার অফিসারের দলকে আঘাত করার পরে ওই সন্ত্রাসবাদী কাছাকাছি চেকপয়েন্ট ১০৯-এ চলে যায়, যেখানে সে নিরাপত্তা বাহিনীকে ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করেছিল, যারা তাকে গুলি করে খতম করতে সক্ষম হয় । আহতদের মধ্যে ২৩ বছর বয়সী আধিকারিক গুরুতর আহত, একজন পুলিশকর্মী (৪৬) মাঝারিভাবে আহত হয়েছেন এবং দুজন হালকা আহত হয়েছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ।
২৬ বছর বয়সী সন্ত্রাসীকে ঘটনাস্থলেই মৃত ঘোষণা করা হয়েছে । পুলিশ বলেছে যে তারা নির্ধারণ করেছে যে হামলাকারী একাই কাজ করেছিল। হিব্রু মিডিয়ায় তার নাম দেওয়া হয়েছে ওয়াহেব সাবিতা, সে পার্শ্ববর্তী আরব ইসরায়েলি শহর তিরার বাসিন্দা।একটি বিবৃতিতে, সবিতার পরিবার বলেছে যে ওয়াহেব সাবিতার ভাই পুলিশকে রিপোর্ট করেছিলেন সে মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিল এবং হামলার ১০ মিনিট আগে সে নাকি আত্মহত্যার হুমকিও দিয়েছিল। পরিবারের দাবি,’সে একটি শান্ত এবং অন্তর্মুখী ছেলে ছিল, যে সম্প্রতি একটি মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছিল এবং তাকে বাড়িতে যত্ন নেওয়া হচ্ছিল । আজকে আমরা যা চাইছি তা হল মৃতদেহ কবরস্থ করার অধিকার দেওয়া হোক এবং একটি বাস্তব ও ন্যায্য তদন্ত পরিচালনা করা হোক । কারন আরব নাগরিকদের ক্ষেত্রে পুলিশ অফিসাররা সহজে ট্রিগার টেনে নেয় এবং আমাদের সব ধরনের সহিংসতার জন্য সমালোচনা করে ।’
যদিও যেকোনো সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসীদের পরিবারকে বিশ্বজুড়ে একই অজুহাতের আশ্রয় নিতে দেখা গেছে । নাশকতা চালানোর সন্ত্রাসীর পরিবার তাকে মানসিক ভাবে অসুস্থ দেখানোর চেষ্টা চালায় যেকারণে ইসরায়েলি পুলিশ ওই সন্ত্রাসবাদীর পরিবারের কথায় বিশেষ আমল দিচ্ছে না । কারন এই ধরনের হামলা ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে বেশি দেখা যায়, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে ইসরায়েলের মধ্যে এই ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা সংঘটিত হয়েছে ।
সোমবার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গ্যান ইয়াভনে একটি মলে এক সন্ত্রাসীর ছুরি হামলার ঘটনায় তিনজন গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন এবং বিয়ারশেবার কেন্দ্রীয় বাস স্টেশনে সন্ত্রাসী হামলায় একজন অফ- ডিউটি ইস্রায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তা ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন ।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল এবং ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে উত্তেজনা চরমে উঠেছে, যখন প্রায় ৩,০০০ সন্ত্রাসী গাজা সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলে হামাসের নেতৃত্বে নাশতা চালায় । কমপক্ষে ১,২০০ জন নিহত হয়, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক এবং ২৫৩ জনকে পনবন্দি করা হয় । ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে মুসলিমদের রমজান মাসে সহিংসতা ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে, যদিও গত তিন সপ্তাহে হামলায় বড় ধরনের বৃদ্ধি দেখা যায়নি।।