এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),০২ মার্চ : স্কুলে পার্শ্বশিক্ষকতার পাশাপাশি সুদের টাকা খাটাতেন পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার চাকটা গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ কামরেজ্জামাল ওরফে কাজল শেখ । সুদের ব্যবসায় সহযোগিতা করত তার ভাই রতন শেখ । একই গ্রামের বাসিন্দা সুব্রত বন্দোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি কামরেজ্জামালের কাছ থেকে মাসিক ৬ শতাংশ হারে সুদে ১৪ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন । টাকা আদায় করতে গিয়ে দাদা ও ভাই মিলে ঋণ গ্রহীতাকে প্রাণে মারা,ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়ার ও গ্রাম ছাড়া করার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ । নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অবশেষে সুদের কারবারি মহম্মদ কামরেজ্জামালকে সোমবার রাতে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ । সোমবার ধৃত ব্যক্তিকে কাটোয়া মহকুমা আদালতের তোলা হলে তাকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক ।
জানা গেছে, গত ৩০ মার্চ কেতুগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুব্রত বন্দোপাধ্যায় । অভিযোগ পত্রে তিনি জানান যে ২০১৭ সালে তিনি কামরেজ্জামাল ও তার ভাই রতন শেখের কাছে দুই ধাপে মোট ১৪ লক্ষ টাকা তিনি ধার নিয়েছিলেন। পরে সুদ ও আসল মিলে মোট ৩৭ লক্ষ টাকা দুজনকে পরিশোধও করেন । তার মধ্যে ২২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ফোন পের মাধ্যমে এবং বাকি টাকা হাতে হাতে নগদ দিয়েছিলেন বলে জানান তিনি ।
সুব্রতবাবুর অভিযোগ,গত ১৫ মার্চ সকালে মহম্মদ কামরেজ্জামাল ও তার ভাই রতন শেখ তাদের বাড়িতে আসে । আরও ১৪ লক্ষ টাকা দিতে হবে বলে তারা চাপ সৃষ্টি করে । টাকা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেয় তারা । শুধু তাইই নয়, ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়ার এবং গ্রাম ছাড়া করার হুমকি দেয় দুজন ৷ বাধ্য হয়ে তিনি বোনের বিয়ের জন্য রাখা সাত লক্ষ টাকা তাদের হাতে তুলে দেন । ভবিষ্যতে ফের যাতে ব্ল্যাকমেলিং এর শিকার না হতে হয় সেজন্য তিনি পুলিশের দারস্থ হতে বাধ্য হন বলে জানান । এদিকে একজন সুদের কারবারি পার্শ্বশিক্ষক ও তার ভাইয়ের কান্ডে তোলপাড় পড়ে গেছে এলাকায় । পুলিশ দ্বিতীয় অভিযুক্তের সন্ধান চালাচ্ছে ।।