সঞ্জয় মণ্ডল,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),৩১ মার্চ : বছর ত্রিশের এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারে । ভাতার থানার কুলনগর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে ওই বধূ শনিবার দুপুরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল । কিন্তু রাস্তাতেই মৃত্যু হয় তাঁর । এরপর সৎকার ঘিরে কুলনগরের শ্বশুরবাড়ি ও বাপের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয় । শেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে৷ আজ রবিবার মৃতদেহটি বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নামমমতা দাস ।
জানা গেছে,ভাতার থানার ঢেঁড়িয়া গ্রামে বাপের বাড়িমমতা দাসের । বেশ কয়েক বছর আগে কুলনগর গ্রামের বাসিন্দা পেশায় টোটো চালক বলরাম দাসের সঙ্গে তার দেখাশোনা করে বিয়ে হয় । দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে । মৃতার বাবা মাধাই দাস জানিয়েছেন যে তার মেয়ে দীর্ঘদিন ধরে শারিরীক অসুস্থতায় ভুগছিল । কিন্তু বলরাম তার স্ত্রীর ঠিকমত চিকিৎসা করত না । উপরন্তু তার মেয়ের উপর সে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত ৷
জানা গেছে,শনিবার মমতা দাস শ্বশুরবাড়িতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন । তাকে প্রথমে ভাতার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে রোগিনীকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন ভাতার হাসপাতালের চিকিৎসকরা । কিন্তু বর্ধমান নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় ওই বধূর ।
জানা গেছে,আজ ময়না তদন্ত করে মৃতদেহ সৎকারের জন্য নিয়ে আসার সময় ভাতার থানার কাছে বর্ধমান কাটোয়া রাজ্য সড়কে দেহ আটকে দেয় বধূর বাপের বাড়ির লোকজন । মৃতার বাবার বাড়ির লোকজনেরা দাবি করে যে মমতা দাসের দুই সন্তানের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত না করা পর্যন্ত তারা দেহ দাহ করতে দেবে না । এনিয়ে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কুলনগরের শ্মশানে বধূর দেহ সৎকার করা হয় ।।