এইদিন ওয়েবডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান,৩০ মার্চ : বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে রাজ্যের শাসক দল প্রার্থী করেছে বিহারের বাসিন্দা তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদকে ৷ তার বিপক্ষে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষকে প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির । বিজেপির ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থীর কাছে তৃণমূল প্রার্থী ধোপে টিকবেন না বলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে । শাসক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যেও তেমন ভাবে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে না । অন্যদিকে চা চক্রে, খেলার মাঠে, মন্দিরে মন্দিরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন দিলীপ ঘোষ । দিলীপ ঘোষকে পেয়ে বিজেপি নেতা কর্মীদের মধ্যেও রয়েছে চরম উন্মাদনা । যে কারণে এলাকায় কানাঘুঁষো চলছে যে বর্ধমান দুর্গাপুর-লোকসভা কেন্দ্রের ফলাফলের বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত তৃণমূল ও গেরুয়া শিবির ।
আজ শনিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারে নির্বাচনী প্রচারে এসেছেন দিলীপ ঘোষ । ভাতার ঢোকার আগে ক্ষেতিয়া অঞ্চলের প্রসিদ্ধ গৌর নদী কালী মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন তিনি । তার আগে বর্ধমান শহরে লোকো ব্লিস মাঠে প্ৰাতঃভ্ৰমণ, চা চক্রে যোগদান এবং ব্যাট হাতে ফুরফুরে মেজাজে ক্রিকেট খেলতে দেখা যায় তাঁকে ।
ভাতার ঢোকার পর দিলীপবাবু বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্য সড়কে কামারপাড়া মোড়ে এসে দাঁড়ান । তার আগে প্রচুর কর্মী সমর্থক প্রিয় নেতার জন্য অপেক্ষা করছিলেন । দলীয় কর্মীদের নিয়ে ভাতার বাজারে সংক্ষিপ্ত র্যালিও করেন। এরপর তিনি চলে যান ভাতার বাজারের অনতি দূরে সোৎখালী কালী মন্দিরে । দেবীকে প্রণাম জানিয়ে বেরিয়ে পড়েন নির্বাচনী প্রচারে । দিলীপবাবু বলেন,’সোৎখালী কালী মাতা মন্দিরে আমরা পূজা দিলাম। মাকে ভক্তিভরে প্রণাম জানিয়ে আমরা রাজ্যবাসীর মঙ্গলার্থে তৃণমূলকে এই রাজ্য থেকে উৎখাত করার জন্য শক্তি চাইলাম মায়ের কাছে। মা অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে রাজ্যে শুভ শক্তির বিকাশ ঘটাবেই ।’
কালী মন্দিরে পূজো দেওয়ার পর দিলীপ ঘোষ ভাতাড়-৪ মন্ডলের কার্যকর্তাদের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক করেন । পরে বলগোনা গ্রামে চা-চক্র কার্যক্রমে অংশ নেন । আজকের নির্বাচনী প্রচারে আগাগোড়া তাঁকে আত্মবিশ্বাসী দেখায় । বর্ধমানের তাবড় সংবাদ মাধ্যমকে আজ দিলীপ ঘোষের পিছনে ঘুরতে দেখা গেল ভাতারে ।
অন্যদিকে প্রার্থী ঘোষণার পর থেকে এযাবৎ কীর্তি আজাদকে ভাতারে দেখা যায়নি । ভাতারের শাসকদলের নেতাকর্মীদের মধ্যেও সেভাবে তেমন উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে না । ভাতার বাজারেই রয়েছে তৃণমূলের ব্লক কার্যালয় । সাধারণত শুনসান দেখা যাচ্ছে কার্যালয়টি । দেয়াল লিখন বা দলীয় প্রচারে তৃণমূলের মধ্যে উদ্যমের অভাব রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা । দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দলের এই প্রকার বিপরীত আচরণে অনেকে মন্তব্য করছেন যে ভোটের আগেই ফলাফল একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গেছে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে ।।