প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৭ জুন : সংজ্ঞাহীন অবস্থায় হাওড়া-বর্ধমান মেইন শাখার শক্তিগড় স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের বাইরে পড়ে ছিলেন এক মহিলা । পাশেই কান্নাকাটি করছিল তাঁর শিশু কন্যা । রবিবার সন্ধ্যায় অসুস্থ মহিলাকে দেখতে পেয়েই জিআরপি ও রেড ভলেন্টিয়ার্সরা মহিলাকে উদ্ধার করে বড়শুল হাসপাতালে নিয়ে যায় । তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা অত্যন্ত কম থাকায় তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হয় । পরে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে । কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি । সোমবার সকালে বর্ধমান হাসপাতালেই ওই মহিলা মারা যান ।মহিলার শিশু কন্যাকে তুলে দেওয়া হয়েছে চাইল্ড লাইনের হাতে । পুলিশ মহিলার পরিচয় ও ঠিকানার জানার চেষ্টা চালাচ্ছে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ,টিকিট কাউন্টারের বাইরে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়েথাকা মহিলা তাঁর নাম জানাতে পারেন নি ।বর্ধমান ২ ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি অরুন গোলদার বলেন , “মহিলার পাশে থাকা তাঁর বছর ৬ বয়সী মেয়ে জানিয়েছে তাঁর নাম আয়েসা ওরাং। ওই নাবালিকাই বলে তাঁর মায়ের নাম বুধনি ওরাং এবং বাবার নাম প্রশান্ত । বাড়ি কোথায় জানতে চাওয়া হলে শিশু কন্যাটি বলে অনেক দূরে গোপালপুরে । কোথাকার গোপালপুর তা নাবালিকা জানাতে পারে নি । তবে শিশুকন্যাটি বলেছে তাঁর কাকা তাঁদের শক্তিগড়ে নিয়ে এসেছিল । বড়শুল হাসপাতালে থেকে আয়েসাকে বর্ধমান হাসপাতালে স্থানান্তরের পর শিশু কন্যাকে নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । বিষয়টি বর্ধমান ২ ব্লকের বিডিও সুবর্ণা মজুমদার জানার পরে তিনি চাইল্ড লাইনে খবর দেন । আয়েসা ওরাং আপাতত চাইল্ড লাইনের হেপাজতে রয়েছে । গন পরিবহন বন্ধ থাকা সত্বেও কিভাবে মহিলা তাঁর কন্যাকে নিয়ে শক্তিগড়ে এল তার তদন্ত শক্তিগড় থানার পুলিশ শুরু করেছে । নাবালিকাকে যাতে তাঁর বাড়িতে পৌছে দেওয়া যায় তারজন্যে পুলিশ মহিলার পরিচয় ও ঠিকানা উদ্ধারের তৎপরতা শুরু করেছে ।।