প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৭ জুন : করোনা অতিমারির কারণে এবছর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হচ্ছে না বলে সোমবার নবান্ন থেকে ঘোষনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষনাকে স্বাগত জানালেও কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ । সোমবার বর্ধমানে এসে দিলীপ ঘোষ বলেন, কারুর সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই আগে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষনা করে দিয়েছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা ’দেড় ঘন্টার’ হবে । কারুর পরামর্শ না নিয়ে তখন মুখ্যমন্ত্রী পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিলেন । পরে তিনি আবার লোকের পরামর্শ নিলেন । তবে যাই হোক ,সিদ্ধান্ত ঠিক আছে বলে দিলীপ ঘোষ এদিন জানিয়ে দেন ।
একই সঙ্গে পরীক্ষা বন্ধ রাখার বিষয়ে কেন্দ্রের সরকারের প্রসঙ্গ সামনে এনে দিলীপ বাবু বলেন ,যাঁরা পরীক্ষা দেবেন তাঁরা সমাজের ভবিষ্যৎ। তাঁদের জীবনের মূল্য রয়েছে। অবিভাবকরাও উদ্বিগ্ন ছিলেন। সেই সবের জন্যেই কেন্দ্রের সরকার পরীক্ষার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ,ছাড়াও যাঁরা এই পদ্ধতির সঙ্গে যুক্ত তাঁদের এবং অন্য বক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে পরীক্ষা না-করার জন্যে আগেই আবেদন রেখেছিলেন।
শীতলকুচির গুলিকাণ্ড নিয়ে সিআইডি তদন্ত প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,পুলিশ রিপোর্টে ছিল দুষ্কৃতকারীরা বন্দুক ছিনিয়ে নিতে গিয়েছিল বলে শীতলকুচিতে গুলি চলেছিল। সে কথা আমরাও জানি। কিন্তু রাজ্য সরকার নির্বাচন কমিশন আর বাহিনীর বিরোধীতা করার জন্যে,বদনাম করার জন্যে সিআইডি তদন্ত করাচ্ছে বলে দিলীপ ঘোষ দাবি করেন।
ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেন, হিংসা একমাসের বেশি সময় ধরে চলছে। এখন অনেকটা শান্ত হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান-সহ পাঁচ-সাতটা জেলার হিংসা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয় । ঘর ছাড়াদের একন ঘরে ফেরানো হচ্ছে। তবে এই ব্যাপারে অনেক জায়গাতে পুলিশ সহযোগিতা করছে না। বাড়ি ফিরলে কর্মীদের মার খেতে হচ্ছে । সে জন্যে আমরা আদালতে যেতে হয়েছে । আদালতের রায় এসেছে, যাঁরা ঘর ছাড়া রয়েছে তাঁদের প্রশাসনকে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে ।তবে সরকার, প্রশাসন সন্ত্রাস বন্ধ করার চেষ্টা করছে না।মুখ্যমন্ত্রী দুঃখপ্রকাশ করে একবারও বলেন নি সন্ত্রাস বন্ধ হোক।দলের নেতার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ বাবু বলেন, হতাশ হয়ে কেউ এইসব করছে।
‘ইয়াস’ পরবর্তিকে রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল
আসা প্রসঙ্গে দীলিপ বাবুর বক্তব্য ,এর আগেও ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণ করতে কেন্দ্রীয় দল এসেছিল । রাজ্য সরকার ২০ হাজার কোটি টাকার হিসেব দিয়েছে।আমরাও চাই কেন্দ্রীয় দল পর্যবেক্ষণ করে দেখুক। যাঁরা যাঁরা সত্যি করেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন, তাঁরা তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ক্ষতিপূরণ পান। যেন দুর্নীতি না হয়।
সেচ দপ্তরে চাকরি দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ রেখাল বেরা গ্রেপ্তার হওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ বাবু বলেন , ‘মুকুলদার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধেও এমন অনেক চক্রান্ত হয়েছিল ।শুভেন্দুবাবু বিজেপিতে এসে মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়ে দিয়েছেন। সেটা হজম করতে না পেরে তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে দীলিপ বাবু বলেন, রাজ্যপালের বদনাম করতেই স্বজনপোষণের
অভিযোগ করা হচ্ছে । কারণ সংবাদ মাধ্যমে তৃণমূলের কারুর কারুর নাম আসছেন না। সে জন্যে চিঠিতে এইসব লিখে তাঁরা সংবাদমাধ্যমে আসতে চাইছেন ।।