এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভোপাল,২৬ মার্চ : মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের নির্দেশে ধর জেলার ভোজশালা/ কামাল মওলা মসজিদ কমপ্লেক্সে জরিপ করছে ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ(ASI) । অত্যাধুনিক প্রত্নতাত্ত্বিক কৌশল ব্যবহার করছে এএসআই । শনিবার টানা দ্বিতীয় দিন ধরে জরিপ চলে । এদিকে এরই মাঝে প্রাচীন সরস্বতী মন্দির ভেঙে কামাল মওলা মসজিদ নির্মান হয়েছিল বলে দাবি করে বিতর্ক আরও উসকে দিয়েছেন প্রাক্তন এএসআই ডিরেক্টর কেকে মোহাম্মদ । শুধু তাইই নয়,তিনি আরও অভিযোগ তুলেছেন যে হিন্দুদের আবেগ বা অনুভূতি নিয়ে কোনো মাথাব্যাথাই নেই মুসলিমদের মধ্যে ।
টাইমস অ্যালজেবরার খবর অনুযায়ী, কেকে মোহাম্মদ বলেছেন যে ভোজশালা/কামাল মওলা মসজিদ একটি সরস্বতী মন্দির ছিল৷ কিন্তু পরে এটি একটি ইসলামিক উপাসনালয়ে রূপান্তরিত হয় । তিনি বলেন,’মুসলিমদেরও কাশী ও মথুরার ব্যাপারে হিন্দুদের অনুভূতি বোঝা উচিত । তাদের মসজিদ অন্যত্র স্থানান্তর করা যেতে পারে । মুসলমানদের কাছে যেমন মক্কা ও মদিনা গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি মথুরা ও কাশী হিন্দুদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ । অথচ এখানে মসজিদ নির্মান নিয়ে হিন্দুদের সেন্টিমেন্টের কোনো মূল্যই নেই মুসলিমদের কাছে ।’ প্রসঙ্গত একে মোহাম্মদ রামজন্মভূমির সমীক্ষার সময় ১২ টি স্তম্ভে প্রাচীন হিন্দু মন্দিরের শিলালিপি আবিষ্কার করেছিলেন,যা আদালতে হিন্দুপক্ষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রমান হিসাবে স্থাপিত হয়েছিল ।
মধ্যপ্রদেশের ধর জেলার কামাল মওলা মসজিদ মামলায় হিন্দু ফ্রন্ট ফর জাস্টিসের প্রতিনিধিত্বকারী তথা মামলার একজন আবেদনকারী আশিস গোয়েল বলেছেন,’,এ এস আই সারা দিন কার্বন ডেটিং, জিপিএস প্রযুক্তি, জিপিআর প্রযুক্তি ব্যবহার করে জরিপটি দক্ষতার সাথে করছে । তারা আদালতের নির্দেশে ৫০ মিটার জুড়ে ভিতরে এবং বাইরে জরিপ পরিচালনা করেছে।
ভোজশালা কমপ্লেক্সকে মা সরস্বতীর মন্দির বলে দাবি করে গোয়াল হিন্দু দৃষ্টিভঙ্গিকে আন্ডারলাইন করেছেন। আশাবাদী হওয়ায়, গোয়াল ASI জরিপ থেকে একটি অনুকূল ফলাফল আশা করেন। আশিস গোয়েলও জোর দিয়েছিলেন যে আদালতের নির্দেশনা অনুসারে জরিপটি যত্ন সহকারে পরিচালিত হচ্ছে।যদিও যথারীতি সমীক্ষার বিরোধিতা করেছে মুসলিম পক্ষ । মুসলিম পক্ষের প্রতিনিধি আব্দুল সামাদ নতুন জরিপ পরিচালনার হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের সাথে একমত নন।তার কথায়, এই সমীক্ষার প্রয়োজনই ছিল না কারণ এর আগে অনুরূপ জরিপ করা হয়েছিল এবং প্রতিবেদনটি সর্বজনীন ডোমেনে রয়েছে। আমরা এই নতুন জরিপের বিরুদ্ধে ।’।