প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৪ মার্চ : শিক্ষকতা পেশাকে ভালবেশে ফেলে প্রতিভাবান যুবক রাজা মাজি মহাকাশ গবেষনা সংস্থা ইসরোয় কাজের সূযোগ পেয়েও তা প্রত্যাখ্যান করেন।এহেন এক শিক্ষক গেট (GATE) পরীক্ষায় ভারত সেরা হওয়ায় আজ গর্বিত গোটা বাংলা। গর্বিত তাঁর পরিবার পরিজন ও ছাত্র ছাত্রীরা। তবে এত বড় সাফল্যের পরেও শিক্ষকতা পেশাকে আঁকড়ে ধরে থাকার সিদ্ধাতেই রাজা অবিচল রয়েছেন।
রাজ রাজার শহর হিসাবেই পরিচিত বর্ধমান। সেই বর্ধমানের খালুইবিলুই মাঠ এলাকার বাসিন্দা রাজা মাজি। তিনি ২০১০ সালে বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশুনা করে তিনি স্নাতক হন। স্নাতক হয়ে ৫ বছর ’ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনে’ চাকরি করেন ।তবে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে রাজা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনে চাকরিও ছেড়ে দেন।এর পরে তিনি বিষ্ণুপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষকতার চাকরিতে যোগ দেন। এখানে চাকরিরত অবস্থায় তিনি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উচ্চশিক্ষার প্রবেশিকা পরীক্ষা ‘গ্রাজুয়েট আপটিটিউট টেস্ট ইন ইঞ্জিনিয়ারিং’ অর্থাৎ গেট-এ (GATE) পরীক্ষায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন। সর্বভারতীয় স্তরের এই পরীক্ষায় ’প্রথম স্থান’ লাভকরে রাজা তাক লাগিয়ে দেন। কৃষি সম্বৃদ্ধ জেলা বর্ধমানের এক শিক্ষকের ভারত সেরা হওয়ার খবরে উচ্ছশিত বঙ্গের শিক্ষক সমাজ।
রাজার সাফল্যের কথা শুনে যারপরনাই খুশি পদ্মশ্রী সন্মানে ভূষিত জেলার আউশগ্রামের শিক্ষক সুজিত চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন,’আমাদের জেলার তরুণ প্রতিভাবান শিক্ষক রাজা মাজি সাফল্যের কাহিনী শুনে আমিও গর্বিত বোধ করছি।সত্যি, রাজা দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন। শিক্ষকতার প্রতি রাজার ’আত্মনিষ্ঠার’ ভূয়সী প্রশংসাও সুজিত বাবু করেছেন।’
রাজা জানিয়েছেন,তিনি শিক্ষকতাই করতে চান । তাই ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের চাকরি ছেড়ে দেন।মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ’ইসরোয়’ কাজ করার সুযোগ পেয়েও সেখানে কাজে যোগ দেন না। তারপ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত তিনি গেট( GATE) পরীক্ষায় বসেন।মার্চ মাসে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হতেই তিনি জানতে পারেন পরীক্ষায় তিনিই প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। উচ্চ শিক্ষার জন্যেই আমি এই পরীক্ষা দিয়ে ছিলাম।তবে শিক্ষকতাকেই আঁকড়ে থাকবো।।