এইদিন ওয়েবডেস্ক,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),২০ মার্চ : ১০ বছর বয়সী পরিচারিকাকে ধর্ষণের পর খুন করে মৃতদেহ বাড়ির চিলেকোঠায় লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দা এক যুবক ও তার মায়ের বিরুদ্ধে । গত সোমবার থেকে ওই কিশোরী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর আজ বুধবার সন্ধ্যায় গ্রামের লোকজন ওই বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি চালালে বাড়ির চিলেকোঠা থেকে মেয়েটির পচাগলা দেহ উদ্ধার হয় । ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে । স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ যে বাড়ির মালিকের ছেলে পিয়েল শেখ (২৪) মেয়েটিকে ধর্ষণ করে খুন করেছে এবং মা রুবি বিবির সহায়তায় মৃতদেহটি চিলেকোঠার ঘরে লুকিয়ে রেখে দেয় । পরে সুযোগ বুঝে তারা মেয়েটির মৃতদেহ কোথাও পাচারের পরিকল্পনা করেছিল । পুলিশ পিয়েল শেখ ও তার মাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ।
জানা গেছে,মৃত মেয়েটির জন্মের পর তার বাবা তাদের ছেড়ে পালিয়ে যায় । পরে কিশোরীর মা তাকে নিয়ে বাপের বাড়ি কেতুগ্রামের রাইখাঁ গ্রামে চলে আসেন । কিশোরীর মাও পরিচারিকার কাজ করেন । বছর খানেক আগে ওই কিশোরীকেও সুলতানপুর গ্রামের জালাল শেখের বাড়িতে কাজে লাগিয়ে দেন তার মা । জালালের ছোট ছেলে পিয়েল শেখ । সে অবিবাহিত ।
মৃতা কিশোরীর পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন,সম্প্রতি জালাল শেখের স্ত্রী রুবি বিবি মেয়েটিকে বাড়ি যেতে দিচ্ছিল না । শুক্রবার মেয়েটি রাইখাঁ গ্রামে আসার পর ওকে আবার নিয়ে চলে যায় রুবি বিবি । তারপর থেকেই মেয়েটি হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় । রুবি বিবিদের বাড়িতে এসে মেয়েটির পরিবারের লোকজন খুঁজতে এলে রুবি তাদের বিভিন্ন বাহানা করে । এতে সন্দেহ হয় কিশোরীর পরিবারের লোকজনের । এরপর আজ সন্ধ্যায় রাইখাঁ গ্রাম থেকে বেশ কিছু লোকজন এসে জালাল শেখ,রুবি বিবি ও তাদের ছেলে পিয়েল শেখকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে । চতুর জালাল ও রুবি বিবি বিষয়টি গোপন করতে সক্ষম হলে চাপে পড়ে মেয়েটিকে খুনের কথা কবুল করে পিয়েল। এরপর তার কথা মত তাদের বাড়ির চিলেকোঠা থেকে উদ্ধার হয় মেয়েটির নিথর দেহ । এদিকে বেগতিক বুঝে জালাল,রুবি ও পিয়েল চম্পট দেওয়ার মতলব করে । তখন গ্রামবাসীরা তাদের আটকে রেখে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে । পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মুল অভিযুক্ত পিয়েল ও তার মা রুবিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে । বৃহস্পতিবার মৃত কিশোরীর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই কিশোরীকে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন কাটোয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কাশীনাথ মিস্ত্রি ।।