এইদিন ওয়েব ডেস্ক,কেতুগ্রাম,১৮ নভেম্বর ঃ এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনায় রনক্ষেত্রের চেহারা নিল কেতুগ্রাম থানার সুলতানপুর গ্রাম । দু’পক্ষের মধ্যে বোমাবাজির পাশাপাশি গোলাগুলিও চলে বলে অভিযোগ । মঙ্গলবার রাতে এই সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে । আহতরা হলেন লালবাবু সেখ, সাহাবুল শেখ এবং রূপচাঁদ মল্লিক। তাঁরা
বর্তমানে বোলপুরের সিয়ান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । এই ঘটনায় উভয় পক্ষের ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । ধৃতদের নাম কাদের শেখ, মেহের শেখ,চন্দন মালিক, কুরবান সেক,ঝন্টু শেখ, শেরু সেখ, নজরুল শেখ ও জামশেদ শেখ । ধৃতদের প্রত্যেকের বাড়ি সুলতানপুর গ্রামে । ধৃতদের কাছ থেকে একটি দেশি পাইপগান লাঠিসোটা লোহার রড এবং একটি খালি কার্টুন উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সুত্রে খবর । এই ঘটনায় পুলিশ একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুলতানপুর গ্রামে তৃনমুল কর্মী জামশেদ শেখ ও শেহর আলি মল্লিকের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিবাদ চলে আসছে । এলাকা দখল ঘিরে এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ইতিপুর্বেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল । মঙ্গলবার রাতে ফের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ।
স্থানীয় সুত্রে খবর,ওই দিন সন্ধ্যা নাগাদ দুই গোষ্ঠীর লোকজন অস্ত্রসস্ত্র,লাঠিসোঁটা নিয়ে সম্মুখ সমরে দাঁড়িয়ে পড়ে । প্রথমে বচসা, তারপর দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বেধে যায় । বোমাবাজির পাশাপাশি চলে গোলাগুলি । খবর পেয়ে কেতুগ্রাম থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে যায় । শুরু হয় ধরপাকড় । গ্রেফতারির ভয়ে বাকিরা পালিয়ে গেলেও ৮ জনকে অস্ত্রশস্ত্রসহ ধরে ফেলে পুলিশ ।
বুধবার ধৃতদের কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হয় ।
যদিও সুলতানপুর গ্রামের এই ঘটনাকে দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব বলে মানতে চাননি কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনাওয়াজ । তাঁর দাবি, ‘ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরেই ওই ঘটনা ঘটেছে ।’