সঞ্জয় মণ্ডল,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১৯ মার্চ : পরিবারের সকলের নজরে এড়িয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার রেল স্টেশনে চলে এসেছিল আট বছরের এক শিশু । তারপর ট্রেনে চেপে সে সোজা কাটোয়ায় চলে যায় । এদিকে পরিবারের লোকজন হন্যে হয়ে খুঁজেও তার কোন সন্ধান না পেয়ে ভাতার থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয় । ভাতার থানার পুলিশ শিশুটির সন্ধান শুরু করে দেয় । এদিকে কাটোয়ার এক মহিলা শিশুটিকে কাটোয়া রেল স্টেশনে দুই ব্যক্তির সঙ্গে বসে থাকতে দেখেন । বিষয়টি তার সন্দেহ হলে তিনি শিশুটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নাম ঠিকানা জেনে নেন । তারপর তিনি শিশুটিকে উদ্ধার করে ভাতার থানা পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে যান । পরে পুলিশ রাজ রায় নামে ওই শিশুটিকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেয় ।
জানা গেছে, ভাতার থানার বড়বেলুন গ্রামের বাসিন্দা জয়ন্ত রায়ের একমাত্র সন্তান রাজ । জয়ন্তবাবু জানান যে এদিন সকালে তার ছেলে কাউকে কিছু না জানিয়েই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় । অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তিনি তার ছেলের সন্ধান করতে পারেননি । শেষের তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন ।
জানা গেছে,এদিকে শিশুটি ভাতার থেকে কাটোয়াগামী একটি ট্রেনের চেপে পড়ে । কাটোয়া স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড়ানোর পর সে ট্রেন থেকে নেমে পড়ে । শিশুটিকে নজরে পড়ে প্লাটফর্মে থাকা দুই ব্যক্তির । তারা শিশুকে নিয়ে প্লাটফর্মেই অপেক্ষা করছিলেন । সেই সময় কাটোয়া পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের মিলপাড়ার বাসিন্দা বাসন্তী হাজরা নামে এক মহিলা সেখানে এলে ওই শিশুটির কথা জানতে পারেন । বাসন্তীদেবী বলেন, ‘বিষয়টি আমার কাছে একটু অস্বাভাবিক ঠেকে । সেই কারণে ওই দুই ব্যক্তিকে আমার নাম পরিচয় দিয়ে শিশু দিকে আমি নিজের হেফাজতে নেই । তারপর শিশুটিকে জিজ্ঞেস করলে সে জানায় যে তার বাড়ি ভাতারে । এরপর আমি শিশুটিকে সঙ্গে নিয়ে বর্ধমান গ্রামের একটি ট্রেনের চেপে পড়ি । সোজা ভাতার থানায় এসে শিশুটিকে পুলিশের হাতে তুলে দিই ।’
এদিকে শিশুটিকে হাতে পেয়ে পুলিশ ফোন করে তার বাবাকে বিষয়টি জানায় । পরে ওই শিশুর বাবা থানায় এসে তার ছেলেকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যায় । ছেলেকে ফিরে পেয়ে কাটোয়ারা ওই মহিলা ও ভাতার থানার পুলিশকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বড় বেলুন গ্রামের বাসিন্দা শিশুটির বাবা । তবে হঠাৎ করে কেন আট বছরের ওই শিশু বাড়ি ছেড়ে চলে গেল তা স্পষ্ট নয় ।।