ট্রেন ছাড়ার আগে স্নিগ্ধ চোখ মালবিকার মায়া ভরা দৃষ্টিতে, ,জানালার দিকে
তাকিয়ে,
কি জানি ফেরার তো কথা ছিল, ভাবান্তরের গভীরতায় করুণ দৃষ্টিতে চোখ দুটি ছলছলে, মনের আঙিনায়,
একটিবার দেখা পেতাম।
দ্রুতগতির ট্রেনের দামাল হাওয়ায় এক ঝটকায় কেশ গুলি মুখে ঝাপটায়।
আরে কি এতো ভাবছিস ভাগ্যিস ধরলাম, যাচ্ছিলিস তো পড়ে, প্রণয় ধরে নিল।
হঠাৎ ঠিক হলো মানালি যাওয়া হবে।
শুনে খুব খুশি এটাই মনের ইচ্ছা ছিল হয়তো,
ট্রেন থামার পর জিপ ভাড়া নিয়ে রওনার পথে।
পাহাড়ের আনাচে কানাচে হিমালয়ের কোলে চেয়েছিল নিজেকে লুকিয়ে রাখতে কি অপূর্ব সৌন্দর্য।
শান্ত উদাসীন দৃষ্টিতে মনের গভীরতায় ডুবে যাওয়া,
এখানে মরনেও সুখ।
সারি সারি দেবদারু প্রকৃতি, শান্ত মধুর রূপে ধরা দিল।
সমতলের কাছে ধরা দেয়ার পালা সামনে শিখরটা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে।
সরকারি গেস্ট হাউস সামনে,
গায়ে গায়ে লাগা ঘর, বারান্দায় টি টেবিল আগে কার আমলের।
গরম কফি পুরানো সাজগোছে প্লেটের উপর বিস্কিটস। ঠান্ডার মধ্যে কপিতে ধোঁয়া উঠছে। চেয়ার পাতা আছে দুখানি।
সন্ধা নেমে এসেছে, পাহাড়ের গায়ে সাজানো সাজানো আলোর বাতি, আকাশের , তারারা মিলেমিশে একাকার।
হৃদয়ের আঙিনায় অনুভূতিগুলো ঝরে পড়লো।
হঠাৎ যেন বিদ্যুতের চমকানির মতো, কে যেন বলে উঠলো কিরে ঠান্ডা লেগে যাবে তো।
কার যেন স্পর্শ অনুভূতি হল। হঠাৎ কালো মেঘ এসে গুরু
গম্ভীর গর্জনে দমকা ঝড়ে সব কালি উল্টেপাল্টে দিল।
প্রণয়,মনের আঙিনায় ছবিটা আবার হারিয়ে গেল।।