এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৫ মার্চ : বৃহস্পতিবার বাড়ির মধ্যেই পড়ে গিয়ে কপাল ফেটে রক্তাক্ত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোনা যাচ্ছে যে পা পিছলে ঘরের ধাতব আলমারির কোনায় লেগে কপাল কেটে যায় তাঁর । মুখ্যমন্ত্রীর রক্তাক্ত মুখের ছবি ‘অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস’-এর অফিসিয়াল হ্যান্ডেলে পোস্ট করায় বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠছে । বিগত বিধানসভা নির্বাচনের সময় ‘পা ভাঙা’র মতই এবারে লোকসভা নির্বাচনে ‘কপাল কাটার’ ঘটনাকে মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করতে চাইছেন বলে অভিযোগ উঠছে । সম্প্রতি বিজেপিতে যোগদান করা কংগ্রেসের প্রাক্তন তরুন নেতা কৌস্তুভ বাগচি এমনই ইঙ্গিত করেছেন ।
কৌস্তভ বাগচি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে টুইট করেছেন,’মাতৃসমা মুখ্যমন্ত্রী,লড়াই রাজনৈতিক, ব্যাক্তিগত না।আমার মাথার চুল গজানোর প্রতিজ্ঞা সম্পূর্ণ রূপে রাজনৈতিক।দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি আপনি দীর্ঘায়ু হন।প্রণাম নেবেন। ইতি আপনার পূত্রসম…কৌস্তভ ।’
এদিকে কলকাতার এসএসকএএমের অধিকর্তা ডাঃ মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বিবৃতিতে ফের এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে । কারন ডাঃ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা অনুযায়ী কেউ নাকি মুখ্যমন্ত্রীকে পিছন থেকে ধাক্কা দিয়েছিল । আর তাতেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে । তিনি আরও জানিয়েছেন যে তাঁর কপালে আর নাকে চারটি স্টিচ পড়েছে । এসএসকেএমের ডিরেক্টর আরও জানান,রাতে মুখ্যমন্ত্রীকে হাসপাতালে থেকে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি জিদ করস বাড়ি ফিরে গেছেন ।
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর নাকে কোনো ক্ষত দেখা যায়নি । কেউ কেউ মনে করছেন যে লোকসভা নির্বাচনে ভোটারদের ‘আবেগ’কে (Emotionally impress) কাজে লাগানোর সুবিধা করে দিতেই
মুখ্যমন্ত্রীর হাতে একটি অস্ত্র তুলে দিলেন এসএসকএএমের অধিকর্তা ডাঃ মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় ।
উল্লেখ্য,বিভিন্ন দূর্নীতি মামলায় তৃণমূলের অভিযুক্ত নেতা বা মন্ত্রীদের চিকিৎসার নামে দিনের পর দিন হাসপাতালে ভর্তি রাখার ঘটনায় কলকাতার এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের ভূমিকাকে বরাবরই সন্দেহের চোখে দেখেছে অনেকে । বিশেষ করে শিক্ষক নিয়োগ দূর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ‘কালিঘাটের কাকু’কে দীর্ঘ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি করে রাখায় তাঁর ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট করাতে কার্যত নাকানিচোবানি খেতে হয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি)কে ।।