এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,১৪ মার্চ : বাংলাদেশের এক যুবকের সাথে ফেসবুকে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে পশ্চিমবঙ্গের এক ২০ বছর বয়সী তরুণীর । প্রেমিকের হাত ধরে বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়ে নিকাহও করেন । কিন্তু মাস ছয়েক কাটে না কাটতেই বেরিয়ে আসে প্রেমিকের আসল স্বরূপ । তরুণী জানতে পারে যে তার প্রেমিক আগে থেকেই বিবাহিত এবং তার স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে । এদিকে তরুণী জন্ম দিয়েছে এক পুত্র সন্তানের । দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ও সন্তানের খরচ খরচা বন্ধ করে দিয়েছে প্রেমিক । প্রেমিকের কথা শুনে পালিয়ে নিকাহ করে ভিনদেশে গিয়ে এখন ভয়ঙ্কর বিপদে পড়েছেন ওই তরুণী । বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের সখিপুরের বাসিন্দা আলামিন মিয়া নামে অভিযুক্ত প্রেমিকের বিরুদ্ধে এখন পুলিশের দারস্থ হয়েছেন প্রতারিত তরুণী শাহানাজ বেগম । শাহানাজ বেগমের অভিযোগ যে সন্তানের কথা গোপন রেখে তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেছিল তার স্বামী আলামিন মিয়া ।
শাহানাজ বেগম জানিয়েছেন,ফেসবুকে আলামিন মিয়ার সাথে তার পরিচয় হয় । তারপর সে আলামিনের হাত ধরে বাংলাদেশে চলে আসেন । বাড়ি ছাড়ার সময় বেশ কিছু গহনা ও দামী মোবাইল সঙ্গে নিয়ে যান । বিয়ের পর ৬ মাস ভালেই চলছিল। এরপর হঠাৎ করেই বদলে যান স্বামী আলামিন মিয়া। এরই মধ্যে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি । কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরে তার স্বামী স্ত্রী ও সন্তানের খাওয়া-পরার খরচ বন্ধ করে দিয়েছে ।
জানা গেছে, বিয়ের পর কৌশলে ৬ মাস গাজিপুর, গোড়াই ও চন্দ্রাসহ বিভিন্ন জায়গায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছিল আলামিন ও শাহানাজ। এরপর ৪ মাস আগে সখিপুরের বড়চওনা ইউনিয়ন মোটেরপাড়া এলাকায় একটা বাড়ি ভাড়া নেয় । কিন্তু এরপর থেকে বাড়ি ভাড়া, খাওয়া-পরার খরচ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে আলামিন। সেই সঙ্গে শাহানাজের ওপর শারিরীক নির্যাতনও চালাতে শুরু করেছে । এরই মধ্যে শাহানাজ একটা পুত্রসন্তানের জন্ম দেন । এই অবস্থায় চরম দুর্দশার মধ্যে জীবনযাপন করছেন শাহানাজ।
বাড়ির মালিক ও এলাকাবাসী জানান,বাড়ি ভাড়া নেওয়ার পর গত ৪ মাস যাবৎ কোনো ভাড়া দেয়নি আলামিন। শাহানাজ ও তার শিশু সন্তানের সকল ভরণপোষণ তারা করছেন। তরুণীকে স্বামীর ঘরে ফেরাতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন তারা। বড়চওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম বলেন, আলামিনের পরিবারের সাথে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
বিষয়টি সখিপুর থানায় লিখিতভাবে জানিয়েছেন শাহানাজ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ শাহিনুর রহমান জানান, তিনি লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন পাটওয়ারীও ।।