ব্যাথা গুলো থাক তোলা-
বাতাসের গায়ে কথা গুলো যাক উড়ে,
কখনো একটা নামের শব্দ স্বরে –
শুনে ঘুম ভাঙা চোখ কান পাতে সুদূরে।
সোহাগী নামের আতর মন ছুঁয়ে গেছে।
যেন কোনো সুঘ্রানে সুরভী জড়িয়ে ধরেছে ।
একটা দুটো নাম তো সেই বরাদ্দ জন্ম পেতে।
যাকিছু রোজ কাঁধে নিয়েই মাসকাবার শেষরাতে।
অথচ কি অদ্ভুত!
অনুভূতির দ্বারেই প্রেমটা বাঁধা পড়ে।
সিনেমা কিংবা সিরিয়াল নাটকের –
জীবন সাজানো কত ঝাচকচকে পরতে।
ঈর্ষা কি হতো? কান্না কি পেতো?
দুনিয়ার নিয়মে নিজেকে খুঁজে নিতে?
না, কখনো না। কসমিন কালেও না।
গল্প নাটক সিনেমা দিয়ে বাস্তব চলেনা।
যেমন কাটছে দিনরাত এমনি বয়েই যাকনা।
অন্তর দহনে মন যদি আমাকে কিছু বলে-
যদি এমন হতো কেউ ডাকতো অন্য নামে?
বড়াই হতো আছে একটা ভালোবাস নাম।
বিলাস হতো ভালোবেসে পেয়েছি সে নাম।
কিন্তু সেকি! এইতো তুমি, প্রশ্ন তুমি কে?তুমিই তো সেই বুঝি আজকের দেবদাস?
ভালোআছো দেবদাস?
এইতো কি নামে জানি ডাকলে আমায়!
কোনো একটা অন্য নামে !
ঘোরের মধ্যে রোজ ওই নামতেই হয়েছে ভোর,
রাতের ঘুমও এই নামেতেই ঘুমতে যাওয়া।
আবার ভোরের দেখা,দিনের থেকে গভীর রাতের পরিক্রমা।
সুখ বিলাসি মন, কোথায় রাখবে তারে! একি সত্যি? নাকি মরীচিকা ভ্রম!
কিছুই হলোনা বাস্তব ছুঁয়ে দিতে। পায়ে পায়ে মাটি ছুঁতে, নেমে পড়িনি কল্লোলিনীর প্রেমের শহর তিলোত্তমার রোদ্দুরে।
তবুও উচ্চারণে একটা নাম শুনেছিলাম, কিন্তু হোমাগ্নিতে শুদ্ধকরণ হয়নিতো সে নাম।
দেখলাম আজ আর ভোর ভোর ঘুম ভাঙে না,সকাল হয়না। কেউ কোথাও নেই ওই চেনা নামে কেউ ডাকেনা।
মুখ থুবড়ে পড়েছি সেকথা অস্থি গ্রন্থি মজ্জা প্রতিপলে জানান দিতে ভুলছে না।
বাবার আদুরে নামটাই ছিলো আমার প্রথম বিলাসবসন।
বাবার ফেরার সাথেই আর আদুরে কিছু অনুভবে ঠাঁই হয়নি।
যুগের ব্যাবধানে এ কোন পুনরাবৃত্তি!
আবার কে আমায় দিলে ডাককোনো অন্য নামে?!
মন কারো আদৌ কি নাম হয়? মন হলো’কি তবে নাম আমার! আমি কিংকর্তব্য বিমূঢ়।
আসলে হোমাগ্নিতে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনে ওই নাম জেগে ওঠেনি। প্রথম উৎসর্গে বেশ জ্বলে উঠলো সে নাম। আচমকা পলতেটা কখন যেন নিভিয়ে দেওয়া হলো, নাম মেলাতে গিয়ে দেখি ওই সেই নামটাই ওই আগুনে আহুতি দেওয়ার কাজে লেগেছে।
আরে! একি! করেছো কি! কি করলে শেষ অন্তিমে দেবদাস?
রোজ রোজ সময় গড়িয়ে পারানির খেয়া নয় বহুদূর –
যুগের হয়েছে অবসান, ফেরার সময় এমন কেউ কান শুদ্ধকরণ করে? তুমিতো রইবে বহালতবিয়তে দেবদাস এযুগেরও।
কে এলে গো ‘নতুন নামের ঈশ্বর হয়ে করতে নামকরণ!
ভালোই করেছো দেবদাস প্রদীপটা নিভিয়ে। শরৎ বাবু সেই কবে লিখেছিলেন, প্রেমের দেবদাস।আজ একবার ভাববার সময় এসেছে দেবদাস !!পারোদের পরিণতি অকারণে। না সে ঘাটের, আর না ঘরের। পারোদের বিস্ময় ঘোর কিছুতেই কাটেনা।
কেমন প্রেমিক তুমি দেবদাস? প্রেম কালান্তরে কি নজির রাখলো ?