এইদিন ওয়েবডেস্ক,চেন্নাই,১৩ মার্চ : পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্থানের সংখ্যাগুরু মুসলিমদের অত্যাচারে ভারতে পালিয়ে আসা হিন্দু,বৌদ্ধ,জৈন ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন(সিএএ) লাগু করেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ।অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাত এবং ইন্ডিয়ান সুফি ফাউন্ডেশন এই আইনকে স্বাগত জানিয়েছেন । কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস এবং কেরালার সিপিএম সরকারসহ বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির নজরে এই আইন ‘মুসলিম বিদ্বেষী’ । এবার তৃণমূল, সিপিএম,কংগ্রেসের পদাঙ্ক অনুসরণ করলেন কথিত ‘সেকুলার’ অভিনেতা দক্ষিণী থালাপতি বিজয়ও । অবশ্য সম্প্রতি ‘তামিলাগা ভেটরি কাজাগাম’ নামে নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করেছেন থালাপতি ।
তার দলের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে,’রাজনৈতিক বিভাজন তৈরির জন্য সিএএ কার্যকর করা হচ্ছে । নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ (সিএএ)-এর মতো কোনো আইন এমন পরিবেশে কার্যকর করা গ্রহণযোগ্য নয়; যেখানে দেশের সকল নাগরিক সামাজিক সম্প্রীতির সাথে বসবাস করে। নেতাদের নিশ্চিত করা উচিত যে, এ আইনটি তামিলে প্রয়োগ করা হবে না।
একইভাবে, আরেক দক্ষিণী কথিত ‘সেকুলার’ অভিনেতা কমল হাসানও নির্বাচনের আগে সিএএর কার্যকর করায় নিন্দা করেছেন । তিনি বলেছেন,’সিএএ আসলে দেশকে ভাগ করার ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই না।আইনটি অত্যন্ত তাড়াহুড়ো করে পেশ করা হয় এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে এখন কার্যকর করা হচ্ছে। এটা বিজেপির ঘৃণ্য পরিকল্পনাগুলোর অন্যতম। ধর্ম, ভাষা এবং বর্ণের ভিত্তিতে সরকার আমাদের নাগরিকদের বিভক্ত করতে চাইছে।’
কিন্তু কিন্তু এই সমস্ত তথাকথিত সেক্যুলাররা এটা বলছেন না, যে পাকিস্তান বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে বিতাড়িত হয়ে আসা হিন্দু বৌদ্ধ জৈন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকজনদের নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত কিনা । বাংলাদেশী এবং রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের বিতারণের বিষয়েও তারা মুখে কুলপ পেটে বসে আছে । যদিও মমতা ব্যানার্জিকে সরাসরি বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ কারীদের জাতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করতে শোনা যায় । একই দাবি করে সিপিএম ও কংগ্রেসও । অভিযোগ যে কংগ্রেস সিপিএম ও তৃণমূলের মত সদ্য রাজনীতিতে আশা অভিনেতা থালাপতি ও কমল হাসানদের একটাই লক্ষ্য মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক ভরানো । এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির এই প্রকার প্রবণতা রাষ্ট্রের সুরক্ষার ক্ষেত্রে মারাত্মক ক্ষতিকারক বলে মনে করা হয় ।।