প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১২ মার্চ : লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ এখনো ঘোষণা করে নি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন।তবে ভোট ঘোষনা না হলেও বর্ধমান-দুর্গাপুর এবং বর্ধমান পূর্ব লোকসভা
আসনে বিজেপির জয় যে নিশ্চিৎ তা একপ্রকার ঘোষণাই করে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
মঙ্গলবার বর্ধমানের দলীয় সাংগঠনিক কার্যালয়ে
অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দিয়ে স্মৃতি ইরানি দলের কার্যকর্তাদের কাছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দপ্তরের রিপোর্টের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন,মানুষ বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্যে তৈরি হয়ে রয়েছে।কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী বর্ধমান-দুর্গাপুর ও বর্ধমান পূর্ব লোকসভা সহ বর্ধমান বিভাগের চারটে লোকসভা আসনেই বিজেপি ই এখন থেকেই দলের সমস্ত স্তরের নেতা ও কর্মীদের বুথমুখী হওয়ার বার্তা দেন স্মৃতি ইরানি।একই সঙ্গে দলের কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে তিনি আমেঠীতে তাঁর জয়ী হয়ে লড়াইয়েয় কাহিনী বর্ণনা করেন।
বর্ধমানে দলের সাংগঠনিক কার্যালয়ে এদিন বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, বীরভূম ও বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার দায়িত্বে থাকা নেতারা উপস্থিত হন । তাদের নিয়েই বৈঠক করেন
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি । তিনি দলের নেতাদের
ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের জনমুখী প্রকল্প গুলি নিয়ে প্রচার করার কথা বলেন। বিশেষ করে বিনামূল্যে পানীয় জল, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, কোভিডের ভ্যাকসিনের মতো বিষয়গুলি তুলে ধরার জন্যে তিনি দলের নেতাদের নির্দেশ দেন।এমনকি বুথ স্তরে সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্যেও তিনি বলেন। বর্ধমানের দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক শেরে এদিন বিকালে স্মৃতি ইরানি জেলার পূর্বস্থলীতেও যান।সেখানেও তিনি দলের কার্যকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করে একই বার্তা দেন। সিএএ (CAA)লাগু হওয়া নরেন্দ্র মোদীর ন্যায় সঙ্গত নির্ণয় বলেও পূর্বস্থলীর কর্মী সম্মেলন তিনি দাবি করেন।
জয় নিয়ে দলের নেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে আমেঠী লোকসভা কেন্দ্রে তাঁর জয়ী হওয়ায় পিছনে থাকা কঠিন লড়াইয়ের কথা তুলে ধরেন । তিনি বলেন,২০১৪ সালে আমেঠীতে ভোটে লড়তে গিয়ে তিনি সেখানে থাকার ঘর ভাড়া পর্যন্ত পাননি।সিমেন্টের গুদাম ঘরে ইঁদুরের কামড় খেয়ে তাঁকে রাত কাটাতে হয়েছে। ইঁদুরের কামড়ের দাগ এখনও তাঁর শরীরে রয়েছে।স্মৃতি ইরানি দলের কর্মীদের এও জানান,আমেঠীতে আমার দলের কর্মীদের মধ্যে কংগ্রেসের লোকেরাও মিশে ছিল। ভোটের দিন ভোটার তালিকাও তিনি পাননি।তবুও মাটি কামড়ে তিনি আমেঠীতে পড়ে থেকে বুথে বুথে সংগঠন তৈরি করে তিনি আমেঠীর ‘একজন’ হয়ে ওঠেন। ভোটেও জয়ী হন। এভাবেই জয়ী হওয়ার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে ভোটের লড়াইয়ে নেমে পড়ার জন্যে স্মৃতি ইরানি দলের সকল কার্যকর্তাদের বার্তা দেন।।