বেপরোয়া গতির ডাম্পার যাত্রী সমেত একটি টোটকে পিষে দেওয়ায় মৃত্যু হল এক শিশু সহ সাতজনের।মঙ্গলবার বেলায় ভয়াবহ এই পথ ঘটেছে দুর্ঘটনাটি হুগলীর চুঁচুড়া-তারকেশ্বর রোডে গুড়াপের কংসারিপুর মোড় এলাকায়। গুড়াপ থানার পুলিশ ঘাতক ডাম্পারটি আটক করার পাশাপাশি পিষ্ট হয়ে যাওয়া টোটর সকল যাত্রীদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় । সেখানেই চিকিৎসকরা টোট চালক সহ সকল যাত্রীদের একেএকে মৃত ঘোষণা করেন। হুগলী গ্রামীনের পুলিশ সুপার কামনাশিষ সেন জানিয়েছেন ,’ডাম্পার চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে’।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতরা হলেন ,বিদ্যুৎ বেড়া(২৯) ও তাঁর স্ত্রী প্রীতি বেড়া (২২) এবং তাঁদের দু’বছর বয়সী পুত্র বিহান বেড়া। এঁনাদের বাড়ি হুগলির দাদপুর বক্রেশ্বর এলাকায়। অপর মৃতরা হলেন, সৃজা ভট্টাচার্য(২০), নুপুর দাস (৫০) এবং তাঁর স্বামী রামপ্রসাদ দাস (৬৩)। সৃজার বাড়ি হুগলির ভাসতারায় । আর দম্পতি রামপ্রসাদ ও নপুরদেবীর বাড়ি হুগলীর পাণ্ডুয়ায় । টোটোর এই সকল যাত্রীরা ছাড়াও গুড়াপের ভোতর এলাকা নিবাসী ২৬ বছর বয়সী টোট চালক সৌমেন ঘোষ কেও চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন । এদিন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃতদেহগুলির ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয় ।বর্ধমান থানার আই সি দিব্যেন্দু দাস নিজে হাসপাতালে উপস্থিত থেকে ময়নাতদন্তের গোটা বিষয়টি তদারকি করেন। এদিন বর্ধমান হাসপাতাল চত্ত্বর মৃতদের পরিবার সদস্যদের কান্নায় ভেঙে পড়েন ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যাত্রী নিয়ে টোটটি চুঁচুড়া
তারকেশ্বর রোড ধরে যাচ্ছিল । পথে গুড়াপের
কংসারিপুর মোড়ে বর্ধমানমুখী একটি ডাম্পার
সজোরে টোটোটিতে ধাক্কা মারে। যাত্রী সমেত টোটোটি পিষ্ট হয়ে ঢুকে যায় ডাম্পারের নিচে। এমনটা দেখে স্থানীয় মানুষজন ঘটনাস্থলে ছুটে
ছুটে গিয়ে ডাম্পারটি দাঁড় করিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। তার মধ্যে পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌছে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় টোটোর সকল আরোহীকে একের পর এক ডাম্পারের নিচ থেকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। চালক সহ টোটোর সকল যাত্রীকেই চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন ।।