এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,১২ মার্চ : গত ১০ ই মে মার্চ ব্রিগেডের জনসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই একের পর এক প্রার্থীকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । যাদবপুরে তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের শিবলিঙ্গে কনডম পরানোর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে । বিহারের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা রাজনীতিবিদ কীর্তি আজাদকে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় আইটি ইনচার্জ অমিত মালব্য । এবারে মালদা দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী শাহনওয়াজ আলি রেহানকে (Shahnawaz Ali Raihan) নিয়ে তিনি বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন ।
সোমবার নিজের এক্স হ্যান্ডেইলে একটি টুইট করে মালদা দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী শাহনওয়াজ আলিকে ‘উগ্রবাদী, হিন্দু বিদ্বেষী, ইসলামিক গোঁড়া, সন্দেহজনক প্রমাণপত্রাদি এবং পরিচিত ভারত-বিরোধী অবস্থান নেওয়া‘ বলে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন ।
টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘মালদা দক্ষিণ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী শাহনওয়াজ আলি রেহান হিউম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এবং স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশন অফ ইন্ডিয়া (এসআইও) এর সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছেন। তিনি জামাত-ই-ইসলামী হিন্দের ছাত্র শাখা এসআইও-এর একজন জাতীয় সম্পাদক ছিলেন, যার শাখা সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াত-ই-ইসলামী বাংলাদেশের হিন্দুদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের যুক্ত ছিল ।
২০২০ সালের অক্টোবরে, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি, দিল্লি এবং কাশ্মীর ভিত্তিক ৯ টি এনজিও এবং ট্রাস্টে অভিযান চালায়, যেগুলি জনস্বাস্থ্য এবং শিক্ষার মতো বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের নামে দান এবং ব্যবসায়িক অবদানের মাধ্যমে দেশে এবং বিদেশে তহবিল সংগ্রহ করছিল। এনআইএ দাবি করেছে যে বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাতে এই তহবিলগুলি জম্মু ও কাশ্মীরে বিভিন্ন চ্যানেল যেমন হাওয়ালা এবং নগদ কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে দিল্লির হিউম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনও ছিল।’ অমিত মালব্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে নিশানা করে বলেন,’সাবাশ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,একজন উগ্রবাদী, হিন্দু বিদ্বেষী, ইসলামিক গোঁড়া, সন্দেহজনক প্রমাণপত্রাদি এবং পরিচিত ভারত-বিরোধী অবস্থান নেওয়া, মালদা দক্ষিণের মত একটি স্পর্শকাতর সীমান্ত নির্বাচনী এলাকা থেকে মাঠে নামানোর জন্য। এমন একজন, যিনি মৌলবাদী সংগঠনের সাথে কাজ করেছেন এবং সক্রিয়ভাবে সিএএ এবং ভারত সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রচার করছেন। তিনি কি প্রার্থীতালিকা ঘোষণার আগেই অপরাধমূলক পোস্টগুলি ডিলিট করেছেন ? কি লোকানোর চেষ্টা করছেন উনি ?’
তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও । তিনি তৃণমূলের কিছু ‘বহিরাগত’ প্রার্থীর নাম প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন । ওই নামগুলির মধ্যে রয়েছে দিল্লির সাকেত গোখলে, অসমের সুস্মিতা দেব, দিল্লির সাগরিকা ঘোষ সারদেশাই, বিহারের কীর্তি আজাদ, গুজরাটের ইউসুফ পাঠান এবং বিহারের শত্রুঘ্ন সিনহা । তাদের মধ্যে শত্রুঘ্ন সিনহাকে আসানসোল থেকে, ইউসুফ পাঠান বহরমপুর, কীর্তি আজাদ বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে । বাকিরা রাজ্যসভার প্রার্থী । শুভেন্দু অধিকারী ওই তালিকা দিয়ে লিখেছেন, ‘ভারতবর্ষের সংবিধান অনুযায়ী কোনও ভারতীয় নাগরিক, তিনি যে প্রদেশেরই হোন না কেন, অন্য কোনো প্রদেশে তাঁকে বহিরাগত আখ্যা দেওয়া যায় না।
আমরাও কখনো কারুর গায়ে বহিরাগত তকমা সেঁটে দেইনি। কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্ব বরাবর নিজেদের সুবিধার্থে ও স্বচ্ছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন সময়ে সর্বভারতীয় স্তরের নেতাদের বহিরাগত বলে চিহ্নিত করেছে।আজ আয়নাটা ওনাদের মুখের সামনে তুলে ধরলাম ।’।