এইদিন ওয়েবডেস্ক, কেতুগ্রাম (পূর্ব বর্ধমান), ১১ মার্চ : পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামে সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী হলেন এক সিভিক ভলেন্টিয়ার।ওই সুইসাইড নোটে তিনি মৃত্যুর জন্য দায়ী করে গিয়েছেন সহকর্মী এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে। কেতুগ্রাম থানার ধাধলসা গ্রামে সোমবার সকালে শোয়ার থেকে উদ্ধার হয় ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের ঝুলন্ত দেহ। পুলিশ জানায় মৃতের নাম রাজীব ঘোষ (৩৩)। পুলিশ মৃতদেহের কাছ থেকেই একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে।তাতে রাজীব উল্লেখ করে যান নিরোল গ্রামের বাসিন্দা আর এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে।তার কাছে রাজীব ২২ লক্ষ টাকা পেতেন বলে পরিবারের দাবি। দেহটি সোমবার ময়নাতদন্ত করানো হয়।এই ঘটনায় অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
মৃত রাজীব ঘোষের পরিবারে রয়েছেন বাবা মা স্ত্রী এবং ৭ বছরের পুত্রসন্তান। দিদির বিবাহিতা । রাজীবের বাবা কার্তিক ঘোষ কলকাতায় একটি পেট্রল পাম্পে কাজ করেন।
কয়েকদিন আগে তার স্ত্রী ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বেড়ুগ্রামে বাপেরবাড়ি গিয়েছিলেন। রাজীবই তাদের পৌছে দিয়ে আসেন।
বাড়িতে রাজীব ও তার মা কণিকাদেবী ছিলেন। রবিবার রাতে রাজীব দোতলা বাড়ির উপরতলায় নিজের ঘরে শুয়েছিলেন। নিচেরতলায় ছিলেন কণিকাদেবী। সোমবার সকালে রাজীব ঘুম থেকে উঠতে দেরি করায় কণিকাদেবী ডাকতে যান। তখন ডেকে সাড়া না পেয়ে দরজা ঠেলে কণিকাদেবী দেখতে পান ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় রাজীবের ঝুলন্ত দেহ। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। জানা গিয়েছে মৃতদেহ উদ্ধারের সময় পাওয়া যায় একটি সুইসাইড নোট।
মৃতের পরিবারের দাবি, প্রায় ছয়মাস আগে রাজীব লটারিতে ১৮ লক্ষ টাকা পুরস্কার জিতেছিলেন । এরপর ওই টাকা এবং নিজের কিছু টাকা মিলে ২২ লক্ষ টাকা নিরোলের বাসিন্দা ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে দিয়েছিলেন। কিন্তু রাজীব ওই টাকা ফেরত চেয়েও পাচ্ছিলেন না। তার জন্য হতাশায় ভুগছিলেন। তার জেরেই রাজীব আত্মহত্যা করেছেন। একথা ওই সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছেন বলে পরিবারের দাবি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।।