এইদিন ওয়েবডেস্ক,শিলিগুড়ি,০৮ মার্চ : দিদিমার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল বছর ষাটেকের এক প্রতিবেশী ব্যক্তির । কিন্তু ওই বৃদ্ধের কুনজর পড়েছিল তার প্রেমিকার কিশোরী নাতনির উপর । দিনের পর দিন ধরে সে কিশোরীকে ধর্ষণ করে যাচ্ছিল বলে অভিযোগ । সম্প্রতি এই পাশবিক অত্যাচারের ঘটনা কিশোরী তার মাকে জানালে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে । এরপর পুলিশের দ্বারস্থ হয় কিশোরীর পরিবার । পুলিশ ধর্ষক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে । ঘটনাটি উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ির ডিএস কলোনি এলাকার । ধৃত বৃদ্ধের নাম ধরণীকান্ত রায় বলে জানা গেছে । ধৃতকে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয় ।
জানা গেছে, নির্যাতিতা কিশোরের বাবা মা জনমজুরির কাজ করেন । কিশোরীর মায়ের মা কিছুটা পাশেই বসবাস করেন । সকালে বাবা-মা কাজে চলে যাওয়ার পর দিদি মার বাড়িতে চলে আসতো মেয়েটি । এদিকে কিশোরীর দিদিমার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক চলছিল বৃদ্ধ ধরণীকান্ত রায়ের । সেই সূত্রে কিশোরীর দিদিমার বাড়িতে নিয়মিত যাতা ছিল ধরণীকান্তের ।
জানা গেছে, সম্প্রতি কিশোরীর একটি সোনার গহনা হারিয়ে যায় । তখন স্থানীয় এক তান্ত্রিকের দারস্য হন কিশোরীর মা । তান্ত্রিক টাকা পরামর্শ দেন তার মেয়ের সাথে এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে । এ নিয়ে ওই মহিলা তার মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে আসে অন্য এক রহস্য । কিশোরী তার মাকে জানাই যে তার দিদিমার প্রেমিকের লালুসার শিকার সে । দীর্ঘদিন ধরে এই বৃদ্ধ তার ওপর যৌন নির্যাতন চালিয়ে আসছে । কিন্তু লোক লজ্জার ভয়ে সে বিষয়টি কাউকে জানায়নি । বুধবার ওই বৃদ্ধের বিরুদ্ধে শিলিগুড়ি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে কিশোরীর পরিবার । ওইদিন গভীর রাতেই ধর্ষক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করে পুলিশ । ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করে বৃহস্পতিবার তাকে জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হয় ।।