জড়াযুর যজ্ঞের অগ্নিকুন্ডের লেলীহান শিখায়
জন্ম নিয়েছিল মেয়েটি।
রক্ত মাংসের কুণ্ডলী পাকানো আঁশটে গন্ধ টা
ছিল না শরীরে
কুসুমের মতো কোমল হৃদয় টাও ঝলসে
নিয়েছে আগুনের আঁচে।
গনগনে আগুনের উত্তাপে সেঁকা একটি মন
অন্যায় অবিচারের মানে কি প্রহসন ⁉
যাজ্ঞসেনী ,বীরাঙ্গনা চামুণ্ডা রূপি
নেমেছে জীবন যুদ্ধে
দূর্যোধন, দুঃশাসন আর শকুনীর সংহারে।
হাতে অস্ত্র নিয়ে হেঁটে চলেছে সুদীর্ঘ পথ
একটা নতুন সভ্যতার প্রবর্তনে!
যুদ্ধ চলছে __ঐ দেখো কুরুক্ষেত্রের মাটিতে
হাতে তার শানিত ধারালো অস্ত্র।
রক্তবীজেরা জন্ম নিচ্ছে প্রতিনিয়ত ধরিত্রীর বুকে!পথে প্রান্তরে বয়ে যাওয়া রক্তের বহমান ধারায়
পবিত্র স্নান সারে অগ্নিকন্যা।
একটা নতুন সভ্যতার সূচনা করবে বলেই
জন্ম নিয়েছিল মেয়েটি।
সে যে পবিত্র যজ্ঞকুণ্ড থেকে উঠে আসা
অগ্নিকন্যা যাজ্ঞসেনী!
পথে প্রান্তরে আঁস্তাকুড়ে জ্বলছে আগুন
শত সহস্র যাজ্ঞসেনীরা মেতেছে উৎসবে
যুদ্ধ জয়ের বিজয় উল্লাসে।।
রক্তের স্রোতে পূর্ণ করে চলেছে
তার পবিত্র দিব্য কলস
শাণিত অস্ত্র হাতে ।।