এইদিন ওয়েবডেস্ক,মহারাষ্ট্র,০৭ মার্চ : ফকির সেজে তুকতাক করে আসছিল মহারাষ্ট্রের থানে এলাকার সাহেববুল উজির শেখ (Saheblal Wazir Shaikh) ওরফে ইউসুফ বাবা (Yusuf Baba) নামে এক প্রতারক ও তার দলবল । ধনী হওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তারা প্রতারণার ব্যবসা ফেঁদে ছিল বেশ কিছুদিন ধরে । মূলত এলাকার আর্থিকভাবে দুর্বল নারীদের প্রলুব্ধ করে তাদের ধর্ষণ বা গনধর্ষণ করত ইউসুফ ও তার দলের সদস্যরা । তারপর ওই মহিলাদের পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করত তারা । সম্প্রতি ১৫ বছরের এক কিশোরী নিখোঁজ হওয়ার পর ঘটনার তদন্তে নেমে ইউসুফের সেক্স র্যাকেটের রহস্য উদঘাটন করে থানে পুলিশ । পুলিশ সাহেববুল উজির শেখ ওরফে ইউসুফ বাবাসহ তার দলের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ।
জানা গেছে,মহারাষ্ট্রের থানে থানার অন্তর্গত রাবডি এলাকা থেকে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীর পরিবার নিখোঁজ এবং অপহরণের একটি মামলা নথিভুক্ত করে । এরপর ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ । পুলিশ তদন্তে দেখতে পায় যে প্রতারক ইউসুফ বাবা ও দল তাকে অপহরণ করে মেয়েটিকে বিক্রি করে দিয়েছে। পুলিশ প্রথমে আসলাম খান ও সেলিম শেখ নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে । তখনই চক্রের মূল পান্ডা সাহেববুল উজির শেখ ওরফে ইউসুফ বাবার নাম পুলিশ জানতে পারে ।
তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ জানতে পারে যে অল্প দিনের মধ্যে ধনী হওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তারা এলাকার দরিদ্র মহিলাদের ফাঁদে ফেলত । প্রথমে ইউসুফ ও তার দলবল সেই মহিলাদেরকে প্রথমে গনধর্ষণ করত । তারপর নির্যাতিতা মহিলাদের বিক্রি করে দিন পতিতালয়ে । এই চক্রে দুই মহিলাও রয়েছে এবং পুলিশ তাদেরও গ্রেফতার করেছে ।
পুলিশের জেরায় গনধর্ষণ কবুল করেছে যে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও কালা জাদুর নাম করে নারীদের উলঙ্গ অবস্থায় বসানো হতো । তাদের অশ্লীল ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেইল করে নিজেরাই প্রথমে তাদের ধর্ষণ বা গনধর্ষণ করতে এবং পরে পতিতাবৃত্তিতে নামাত । ইউসুফ ও তার দলের সদস্যদের মোবাইল ফোন থেকে বহু আপত্তিকর ভিডিও পেয়েছে পুলিশ ।
থানে ক্রাইম ব্রাঞ্চ-১-এর ইন্সপেক্টর কৃষ্ণা কোকানি জানিয়েছেন,ইতিমধ্যে অন্তত ১৭ জন মহিলাকে ওই চক্রটি ফাঁদে ফেলেছে। এলাকার মেয়েদের ফাঁদে ফেলার জন্য ২ জন মহিলাকে দলে রেখেছিল ইউসুফ । ওই সমস্ত মহিলাদের তারা কালা জাদুর মাধ্যমে ধনী হওয়ার প্রলোভন দিত বলে তিনি জানান ।।