এইদিন ওয়েবডেস্ক,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান), ০৬ মার্চ : বড় দাদার গ্রামেই বিয়ে হয়েছে । দাদার শ্বশুরবাড়ি সম্পর্কে আত্মীয় এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল ১৯ বছরের তরুণ । প্রায় দিনরাত ধরেই চলত প্রেমিকার সঙ্গে ফোনালাপ । এতে আপত্তি করেন তরুনীর মা । আর সেই অভিমানে সে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় । কিন্তু তিন দিন ধরে ওই তরুনকে খুঁজে পায়নি তার পরিবার । অবশেষে আজ বুধবার সকালে বাড়ির কাছেই পরিত্যক্ত গোয়ালঘর থেকে তার পচাগলা ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল । ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানার লক্ষীপুর গ্রামে । পুলিশ আকু শেখ (১৯) নামে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে ।
জানা গেছে,মঙ্গলকোট থানার লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা আকু শেখরা তিন ভাই । সে ছোট । দুই দাদা পরিযায়ী শ্রমিক । আকু ট্রাক্টর চালাত । বাড়িতে রয়েছেন বিধবা মা মুসলি বিবি । মুসলি বিবির বড় ছেলে রাজেশ শেখের গ্রামেই বিয়ে হয়েছে বছর খানেক আগে । দাদার শ্বশুরবাড়ির সম্পর্কে আত্মীয় এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল আকু শেখ । প্রায়ই সে প্রেমিকার সঙ্গে ফোনে কথা বলত । এটা দেখে আপত্তি করেন মুসলি বিবি । রবিবার রাতে এনিয়ে তিনি ছেলেকে দু’চার কথা শুনিয়েও দেন । এরপর মায়ের উপর অভিমান করে বাড়ি থেকে রাতেই বের হন আকু । তারপর সে আর বাড়ি ফেরেনি ।
জানা গেছে,প্রথমে পরিবারের লোকজন ভেবেছিল যে প্রেমিকার সঙ্গেই পালিয়েছে আকু । কিন্তু এদিন সকালে বাড়ির কাছেই পরিত্যক্ত গোয়ালঘর থেকে পচা দুর্গন্ধ পেয়ে গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে তাদের সেই ভুল ভাঙে । তাদের নজরে পড়ে ঘরের চাল থেকে একটা দড়িতে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে ওই তরুনের পচাগলা দেহ । এরপর খবর পেয়ে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় ৷।