এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৫ মার্চ : প্রকাশ্য জনসভায় রাম জন্মভূমি মন্দিরকে ‘অপবিত্র’ এবং ভারতের হিন্দুদের রাম জন্মভূমি মন্দিরে পুজো না দিতে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন হুগলি জেলার তারকেশ্বরের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক রামেন্দু সিনহা রায় । তৃণমূল বিধাকের এই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দিল ‘অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতি’। একটি ভিডিও বার্তায় সংগঠনের এক সন্ন্যাসী ‘বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের সহায়তায় সরকার চালানো’ মমতা ব্যানার্জিকে প্রশ্ন করেন যে আপনার দলের নেতারা আর কত হিন্দু ধর্মের অপমান করবে ?
‘অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতি’র সন্ন্যাসীর ভিডিওটি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে পোস্ট করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । ভিডিওতে ওই সন্ন্যাসী কে বলতে শোনা গেছে, ‘তৃণমূলের বিধায়ক রামেন্দু সিনহা রায় দ্বারা ভগবান শ্রী রামের জন্মভূমিকে নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের যেভাবে অপমান করা হলো এটা অখিল ভারতীয় সমিতি ঘোর নিন্দা করছে । বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের সহায়তায় সরকার চালানো মমতা ব্যানার্জীর দলের বিধায়করা হিন্দুদের আর কত এবং কতদিন ধরে অপমান করবে? সন্দেশখালীর হিন্দু মা বোনদের অপমানের পর এবার ভগবান শ্রী রাম জন্মভূমিকে অপবিত্র বলার পাপ করেছে, আমি বলব মমতা দিদি রাজনীতি একটা সীমা আছে ।’
সন্ন্যাসীর বক্তব্যকে সমর্থন করে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,’মর্যাদা পুরুষোত্তম ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের মন্দির তথা হিন্দুদের পবিত্র পীঠস্থানকে তারকেশ্বরের তৃণমূল বিধায়কের দ্বারা অপমানের বিরুদ্ধে ‘অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতি’র এই প্রতিবাদ কে স্বাগত জানাই।
শ্রীমদ্ভাগবত গীতায় বলা হয়েছে যে :-
দম্ভো দর্পোভিমানশ্চ ক্রোধঃ পারুষ্যমেব চ।
অজ্ঞানং চাভিজাতস্য পার্থ সম্পদামাসুরীম্।।
অর্থাৎ: হে পার্থ, দম্ভ, দর্প, অহংকার, ক্রোধ, রূঢ়তা ও অজ্ঞানতা, এই সমস্ত হল আসুরিক মনোভাবাপন্ন ব্যক্তিদের সম্পদ। যখন মানুষ নিজেকে বড় মনে করতে শুরু করে, অহংকার বোধ থেকে এই অশুভ গুণগুলি দেখা দেয়।’ তিনি আরো লেখেন,’আজ ক্ষমতার দম্ভে একটি সম্প্রদায়ের মানুষের ভোটের আশায় তোলামূলের মালিক এবং তার কর্মচারিদের দের জ্ঞান বুদ্ধি লোপ পেয়েছে, তারা অনবরত হিন্দু ধর্মের এবং হিন্দুদের আরাধ্য দেব দেবীর অপমান করে চলেছেন। আপনারা নিজেদের কর্মের ফলের অপেক্ষায় থাকুন…।’।